• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১২, ২০১৮, ১০:২৩ পিএম
ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ

ঢাকা: টানা তৃতীয়বারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটে সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হাতে লেখা প্রশ্নের সঙ্গে মূলপ্রশ্নের ৭২টি মিলে গেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১২ অক্টোবর ২০১৮) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫০টি কেন্দ্রে ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৩১টি স্কুল কলেজসহ মোট ৮১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষার আগে সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে। নগদ অর্থের বিনিময়ে একটি চক্র ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে উত্তর লেখাসংবলিত প্রশ্ন সরবরাহ করে। বেলা ১১টায় পরীক্ষা শেষ হলে হাতে লেখা ওই উত্তরপত্র যাচাই করে দেখা গেছে, সেখানে বাংলা অংশে ১৯টি, ইংরেজি অংশে ১৭টি, সাধারণ জ্ঞান অংশে ৩৬টিসহ (বাংলাদেশ বিষয়াবলি ১৬ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০) মোট ৭২টি প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। ‘ঘ’ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান এ তিনটি বিষয়ে মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকে।

এদিকে বেলা সোয়া ১০টার দিকে ১৪টি পৃথক কাগজে হাতে লেখা প্রশ্নপত্রের উত্তরসংবলিত কপি নিয়ে প্রক্টর অফিসে যান গণমাধ্যম কর্মীরা। সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সোহেল রানাকে এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হাতে প্রশ্ন না পাওয়ায় গণমাধ্যম কর্মীরা তখনো ফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারছিলেন না। পরে পরীক্ষা শেষ হলে হাতে লেখা উত্তরপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্ন মিলিয়ে দেখা যায়, সেখানে ৭২টি প্রশ্নের মিল রয়েছে।

এদিকে প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কোনো নির্ভরশীল সূত্র থেকে প্রশ্নফাঁসের তথ্য নিশ্চিত হতে পারিনি। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছি। প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তবে যে বিষয়টি বলা হচ্ছে সেটি প্রশ্নফাঁস নয়, ডিজিটাল জালিয়াতি। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন ইলেকট্রনিক ডিভাইস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরও কীভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।

প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি প্রমাণিত হলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটি পরের বিষয়।

অন্যদিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন-উত্তর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব প্রশ্ন একই ব্যক্তির হাতে লেখা। সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের বক্তব্য অনুযায়ী ১০টায় পরীক্ষা শুরুর পর যদি প্রশ্নপত্র বের হয়ে থাকে তাহলে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে তা উত্তরসহ লিখে প্রস্তুত করা কীভাবে সম্ভব?

উল্লেখ্য, এ বছর ঘ-ইউনিটে ১ হাজার ৬১৫টি (বিজ্ঞানে- ১১৫২টি, বিজনেস স্টাডিজে- ৪১০, মানবিকে- ৫৩টি) আসনের বিপরীতে মোট ৯৫ হাজার ৩৪১ জন ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরের ৮১টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!