• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেয়া ১২শ কোটি টাকার রায় কাল


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ১৫, ২০১৭, ১১:৪০ এএম
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেয়া ১২শ কোটি টাকার রায় কাল

ঢাকা: তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া ১২শ কোটি টাকা ফেরত চেয়ে করা আপিলের শুনানি শেষ করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চে শুনানি করা হয়। ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে নেয়া ১২শ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা আছে।

আদালতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এম আমীর উল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন আহসানুল করিম।

উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের শাসনকালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময় বিদেশে অর্থ পাচার ও সরকারি সম্পদ লুটপাটসহ নানা অভিযোগে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা আদায় করা হয়। এ অর্থ সরকারি খাতে ব্যয় হবে নাকি ফেরত দেয়া হবে- এ নিয়ে সারা বছর নানা নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বিদায় নেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

শেষদিকে এসে এই ১২শ’ কোটি টাকার কি হবে তা নিয়ে বিদায়ী সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বেশ কয়েকদফা আলোচনা হলেও আইনগত বৈধতা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত দিয়ে যেতে পারেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

ঐসব অর্থের আইনগত ভিত্তি তৈরি করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেশ কয়েকটি বিকল্প চিন্তা করলেও শেষ পর্যন্ত তার একটিও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ট্রুথ কমিশনের আত্মপক্ষসমর্থনের সুযোগ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানা হিসেবে সমন্বয় করা বা বিশেষ আইন করে বকেয়া রাজস্ব কিংবা সরকারের অন্য কোনো খাতে সমন্বয় করার চিন্তাভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। এছাড়া এই টাকাগুলো কী অবস্থায় থাকবে সে বিষয়েও কোনো দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়নি। সিদ্ধান্তের বিষয়টি নির্বাচিত সরকারের হাতে ছেড়ে দিয়ে বিদায় নেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

এসব অর্থের ‘গতি’ করতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মধ্যে একাধিক চিঠি চালাচালি হয়েছে। কিন্তু বিষয়টির এখনো কোনো সমাধান হয়নি। বর্তমানে টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিচালিত সরকারের একটি অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তের পরই ঐসব টাকা অন্য কোনো খাতে ব্যয় করার জন্য ছাড় করা হবে। যেসব ব্যবসায়ী বা শিল্পগোষ্ঠীর অর্থ রয়েছে তারা হলেন- ফিনলে চা কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী এ কিউ আই চৌধুরীসহ ৮ ব্যবসায়ী গ্রুপের ২৩৭ কোটি টাকা, আহমেদ আকবর সোবহানের বসুন্ধরা গ্রুপের ৭০ কোটি টাকা, এস আলম গ্রুপের সাইফুল আলমের ৬০ কোটি টাকা, ইউনিক গ্রুপের নূর আলীর কাছ থেকে ৪১ কোটি টাকা। এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্র্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হাফিজ ইব্রাহিম, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, ইস্পাহানি গ্রুপের মির্জা সালমান ইস্পাহানি, পেডরোলো গ্রুপের নাদের খান, ইস্টকোস্ট গ্রুপের আজম জে চৌধুরী, শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের শওকত আলী চৌধুরী, ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান ও এমজিএইচ গ্রম্নপের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!