• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘তদন্ত পরিচালনার ক্রুটিতে ছাড়া পাচ্ছে আসামিরা’


আদালত প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৭, ০৫:৫৯ পিএম
‘তদন্ত পরিচালনার ক্রুটিতে ছাড়া পাচ্ছে আসামিরা’

ঢাকা: তদন্ত ও মামলা পরিচালনার ক্রুটিতে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে বড় বড় মামলার আসামিরা এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে সুপ্রিমকোর্ট সমিতি বিজয়া পুনমির্লনী ও বানী অর্চনা উৎযাপন পরিষদের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি তদন্ত বিষয়ে সংশোধন করায় দায়িত্ব বেড়েছে পুলিশের। কিন্তু, মামলায় আসামিদের সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করায়- তা পরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে বিচারকদের। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, হাইকোর্টের পর এবার, উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বাংলায় রায় লেখার। সেজন্য, পর্যাপ্ত বেঞ্চ অফিসার নিয়োগ ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কথাও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলায় আমাদের হাইকোর্টে বিচারকরা রায় দিচ্ছেন। এতো সুন্দরভাবে রায় দিচ্ছেন সেটি আমার পক্ষেও কঠিন বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের বাংলায় লেখা রায় যখন আমার কাছে আসে আমি সেগুলো ভাল করে দেখি। তিনি বলেন, হাইকোর্টের কিছু কিছু বিচারক ভালো বাংলায় রায় দিতে পারেন। তারা সুন্দর রায় দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, আপিল বিভাগে আমরা ম্যাকানিজম বের করার চেষ্টা করছি। আমরা রায় দেয়ার সময় ডিটেকশন দেবো যেটি সফটওয়ারের মাধ্যমে বাংলায় বের হবে। আমি ও আমাদের আইটি বিভাগে এগুলো নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের রায় বাংলায় ঘোষণা করতে আইনজীবীদের এগিয়ে আসা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেন বাংলায় আইনের বই লিখেন সে জন্য তাদের এগিয়ে আসতে হবে। বলেন, আইনের ব্যাখা বাংলায় লিখলে রায় দেয়া সহজ।

তিনি বলেন, আমি প্রথম প্রধান বিচারপতি যে পুলিশের হেডকোয়াটে গিয়ে এসপি লেভেলের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তিন ঘন্টা তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছি। আমি তাদেরকে বলেছি, পুলিশের চার্জশীটে কী কী থাকতে হবে আর কী কী থাকবে না।

তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হচ্ছে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করায়। পুলিশের দায়িত্ব ব্যাপক বেড়ে গেছে। কোন অপরাধে কী লিখতে হবে। সেগুলো উল্লেখ না থাকলে হবে না। বোঝা যাবে না। আসামি কী ধরনের অপরাধ করেছে। আসামি সহযোগী নাকি মুল। তাদেরকে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার না থাকলে বিচারকদের জামিন দেয়া এবং বিচার করা কঠিন হয়ে যায়। তথ্য পরিষ্কার না থাকায় তারা সহজেই জামিন পেয়ে যায়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!