‘তাভেলা হত্যায় র‌্যাব-পুলিশের তদন্তে ষড়যন্ত্র ফাঁস’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে র‌্যাবের ডিজি বলছেন, ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেলা হত্যার সাথে নিউ জেএমবির নেতারা জড়িত। আর তারপরেই সংবাদ সম্মেলন করে ডিবির জয়েন্ট কমিশনার বলছেন, না আমরা তদন্ত করে দেখেছি, এটা সঙ্গে কাইয়ুম সাহেব ও তার ভাইরা জড়িত।

এসময় তিনি এ হত‌্যাকাণ্ড নিয়ে র‌্যাব ও পুলিশের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এই মামলায় বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমকে ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর’ প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর: আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেলা হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে। বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা আলোচিত এই মামলায় ২৪ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রেখেছেন।

রিজভী বলেন, এটা এখন সুস্পষ্ট- এই যে তাভেলা হত্যা মামলার চার্জশিট টাইপ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অথবা সুধাসদন ভবনে, অন্য কোথাও নয়। অর্থাৎ সরকার যা বলেছেন, সেইভাবেই চার্জসিট সাজানো হয়েছে। তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে এই কাজটি তৈরি করা হয়েছে শুধুমাত্র বিএনপির নেতাদের এই ঘটনার সাথে জড়িত করার জন্য।

দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জনগণকে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।

গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর কূটনৈতিক পাড়া গুলশানে ইতালীয় নাগরিক তাভেলাকে (৫১) গুলি করে হত্যার প্রায় এক মাস পর ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমের ভাই আব্দুল মতিন, তামজিদ আহম্মেদ রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাকতি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগ্নে রাসেল ও সাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরীফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপি নেতা খালেদা ইয়াসমীন ও আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন