• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তামিমকেই ‘গুরু’ মানছেন এনামুল


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ২১, ২০১৮, ০৯:২৮ পিএম
তামিমকেই ‘গুরু’ মানছেন এনামুল

ছবি: নাঈম পারভেজ অপু

ঢাকা: ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে চোটে পড়ে ছিটকে পড়েছিলেন এনামুল হক। দীর্ঘ বিরতির পর ত্রিদেশীয় সিরিজের বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন। দুটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েও নিজের ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে ৩৭ বলে ৩৫  রানের ইনিংসটি খেলতে গিয়ে তিন বার জীবন পেয়েছেন। তারপরও এনামুলের ইনিংসটি লম্বা হয়নি।

এটাও ঠিক যে আক্রমণাত্মক খেলতে গেলে ঝুঁকি নিতেই হয়। তবে সেই ঝুঁকিও নিতে হয় অঙ্ক কষে। রোববার (২১ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমের সামনে বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন এনামুল নিজেও। বললেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনা করে খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয় হিসাবি ঝুঁকি নেওয়াটা জরুরি। একটি ম্যাচে ভুল করেছি। সামনে চেষ্টা করব যাতে ভুল না হয়।’

এনামুলের ওপেনিং সঙ্গী তামিম ইকবাল এখন অনেক ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট খেলেন। আগের মতো আর হুটহাট কোনও শট খেলেন না। গত কয়েক বছর ধরে তামিম পরিণত ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। তাঁর ধারাবাহিকতা দেখলেই এর প্রমাণ মেলে। এনামুলও তামিমকে অনুসরণ করছেন। চেষ্টা করছেন তাঁকে দেখে শিখতে,  তামিম ভাই মাঝেমধ্যে ঝুঁকি নেন। একজন বোলারকে সুবিধামতো পেয়ে দুটি বাউন্ডারি মেরে দিলে রানরেট কাছাকাছি চলে আসে। একজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ভাইকে অনুসরণ করার চেষ্টা করছি। আমার কাছে মনে হয়, বড় রান শিগগিরই হয়ে যাবে। মাত্র দুটি ইনিংস খেললাম। আশা করি, বড় ইনিংস সামনে হবে।’

উইকেটে যেই থাক তামিম সবসময়ই তাঁর সঙ্গীকে সহায়তার চেষ্টা করেন। সেটি পাচ্ছেন এনামুলও। তাই তো তামিমকে নিয়ে তিনি বলে গেলেন, ‘টপ অর্ডারের তামিম ভাইয়ের চেয়ে সহায়তাকারী আর কেউ নেই। তামিম ভাইয়ের সঙ্গে ব্যাটিং করাও গর্বের  ব্যাপার। বাংলাদেশে এত বড় একজন ওপেনার জন্ম নিয়েছেন, বিরাট ব্যাপার। তাঁর সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা হয়। মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে। আসলে দুই থেকে রান এলে সুবিধা হয়। আর ডানহাতি বাঁহাতীর কম্বিনেশন থাকলে বোলারদেরও একটু অসবিধা হয়। মাত্র দলে ফিরলাম, সামনে আরও বেশি কিছু শিখতে পারব।’

গত তিন বছর দলের সঙ্গে ছিলেন না এনামুল। এই তিন বছরে আমূল বদলে গেছে বাংলাদেশ দল। এনামুলের চোখেও পার্থক্য ধরা পড়েছে,‘ আমরা সবাই এখন একটা দল হয়ে খেলছি। সবাই চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে বড় জায়গায় নিয়ে যেতে। আমাদের দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন। সবাই স্বাধীনতা নিয়ে খেলছেন, যা খুব দরকার ছিল। ড্রেসিংরুমে থাকলে একটা ভাল লাগা কাজ করে, তামিম ভাইয়ের ১১ হাজার রান, সাকিব ভাইয়ের ১০ হাজার রান, মুশফিক ভাইয়ের ৩০০ ম্যাচ, মাশরাফি ভাইয়ের নেতৃত্ব, রিয়াদ ভাইয়ের মতো লড়াকু খেলোয়াড়। মোস্তাফিজের মতো দুর্দান্ত বোলার-ড্রেসিংরুমটা এখন অনেক ভারি। এখানে থাকলে মনে হয় আমাকেও আরও ভাল কিছু করতে হবে। ড্রেসিংরুমে থাকলে মনে হয়, বাংলাদেশ এখন অনেক বড়।’ সত্যিই, ক্রিকেটে বড় হওয়ার পথেই রয়েছে বাংলাদেশ।

 সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!