• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তামীম চৌধুরীকে ৫০ হাজার ডলার দিতে চেয়েছিল আইব্যাক


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭, ০২:৪২ পিএম
তামীম চৌধুরীকে ৫০ হাজার ডলার দিতে চেয়েছিল আইব্যাক

ঢাকা: আইব্যাক নামের একটি সফটওয়ার কোম্পানীর মালিক জঙ্গিবাদে অর্থায়ন করত। তার মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই স্পেনে বসে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন করছে  বলে জানিয়েছেন র‌্যাব। এই অভিযোগে স্পেনে আতাউল হক সবুজ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার সময়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান মুফতি মাহমুদ খান।

এরআগে র‌্যাবের অভিযানে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিবাদে অর্থায়নে জড়িত থাকার অপরাধে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আল মামুন (২০), আল আমিন (২৩), ফয়সাল ওরফে তুহিন (৩৭), মঈন খান (৩৩), আমজাদ হোসেন (৩৪), মো. নাহিদ (৩০), মো. তাজুল ইসলাম ওরফে শাকিল (২৭), মো. জাহেদুল্লাহ (২৯), আল আমিন (২৩), টনি নাথ (৪০) এবং মো. হেলাল উদ্দিন (২৭)। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আইব্যাক নামের একটি সফটওয়ার কোম্পানী বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য সহ পৃথিবীর নয়টি দেশে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানটি জেএমবির সারোয়ার তামীম গ্রুপের বাশারুজ্জাম চকলেটের মাধ্যমে তামীম চৌধুরীকে ৫০ হাজার ইউএস ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশী টাকা দিতে চেয়েছিল। তখন বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যরা জেনে ফেলে এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে আইব্যাকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনার পর আতাউল হক সবুজের ভাই সিরিয়ায় গিয়ে মারা যায়। পরে প্রতিষ্ঠানটির মালিক হন আতাউল হক সবুজ। পরে তিনি নিরাপদ এলাকা হিসেবে স্পেনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।

সেখান থেকে তিনিও জঙ্গিবাদে অর্থায়ন করতে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালে সাতজনকে আসামি করে একটি মামলাও হয়েছিল। ওই মামলায় বর্তমানে চারজন আসামি জামিনে বাইরে রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আজকের অভিযানে অন্য একটি নতুন মাত্রা আছে। গোয়েন্দা তথ্যে ভিত্তিতে যখন নিশ্চিত হই যে বাংলাদেশী এক নাগরিক স্পেনে থেকে জঙ্গি কাজে জড়িত আছে। তার পর বিষটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে স্পেনের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং তাকে সেখানেই চিহ্নিত করা হয়।

পরে আজ বাংলাদেশে যখন অভিযান হচ্ছিল, একই সময় স্পেনে সেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আতাউল হক সবুজকে গ্রেপ্তার করেছে।  সবুজের স্ত্রীও স্পেনে বসবাস করেন। তার বিরোদ্ধেও সেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।


সোনালীনিউজ/জেডআরসি/আকন

Wordbridge School
Link copied!