• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

তারা শরীরী ভাষায় ডাকে খদ্দের


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ২৫, ২০১৭, ০৫:৫২ পিএম
তারা শরীরী ভাষায় ডাকে খদ্দের

ঢাকা: সন্ধ্যা হলেই নেমে যায় রাস্তায়। নিশাচর প্রাণী তারা! রাতই যাদেরে কর্মের সময়। পাশ দিয়ে যাওয়া নানা বয়সি পুরুষদের শরীরী ভাষায় ডাকেন। বলছিলাম রাতের ঢাকার বারাঙ্গণাদের কথা। স্টেশনের পাশে, ফুতপাতে, ফ্লাইওভার বা ওভারব্রীজে তাদের দেখা মেলে। বাংলায় তাদের কর্মের শুরুর ইতিহাস অনেক পুরনো। পর্তুগিজদের সময়ে, পরবর্তীতে ব্রিটিশের শাসন কাল থেকেই এই ব্যবসা চলছে। যেন দেখার কেউ নেই।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, স্টেশন থেকে খদ্দের ধরে কাছাকাছি লজ বা ভাড়া করা ঘরগুলিতে দেহব্যবসা চলত এক সময়ে। ইদানীং দোকানের পাশে অন্ধকার ফাঁকা জায়গাতেও সংক্ষেপে ‘কাজ’ সারছে অনেকে। অধিকাংশই মাঝবয়সী যৌনকর্মী। 

রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, কাকরাইলে রাস্তার ধারেই খদ্দের ধরতে দেখা যায় তাদের। এছাড়াও সংসদ ভবন ও চন্দ্রীমা উদ্যানেও তাদের উৎপাত কম নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের নাগালে থাকলেও তাদের চোখে না পড়ার মত। দেখেও না দেখার ভান। এই ব্যবসায় আর পাঁচজন হকারের মতো পুলিশকে মাসোহারার ব্যবস্থা আছে বলে অভিযোগ শোনা যায় নানা মহলে।

সস্তা প্রসাধনের মোড়কে নিজেকে ঢেকে এই ব্যবসায় প্রায় কুড়ি বছর পার করা সাহানা নাথ, রুমিয়া দাসদের (নাম পরিবর্তিত) জানান, ‘পারিশ্রমিক না দিয়ে চলে যাওয়া লোকের সংখ্যা প্রচুর। খোলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করলেও কেউ আমাদের পাশে দাঁড়াবে না। উল্টে চরিত্রের দিকে আঙুল তুলবে। স্টেশনটা অনেক নিরাপদ আমাদের কাছে।’

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!