• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তারূণ্যের পৃথিবী


সাঈদ সজল মার্চ ১২, ২০১৮, ০২:০৭ পিএম
তারূণ্যের পৃথিবী

ঢাকা : সময় পূর্ব নির্ধারিত। বন্ধুর ফোন কল। ঘন্টা বেজে গেল তারূণ্যের সমাবেশের। ঘড়ির কাটায় কাটায় সকাল ১০ টায় প্রস্তুতি স্বাভাবিক। দিনটি ছিল শনিবার (১০ মার্চ)। পরিচ্ছন্ন নগরীর পথ ধরে ছুটে চললাম। উপস্থিত হলাম সমাবেশ স্থলে। অবাক না হবার কিছু নেই। দৃষ্টিগোচর হলোনা জ্ঞানিগুণী সমাগম। তাদের দেখে মনে পড়ে গেল তারূণ্যের কথা।

কেননা এসব মুক্তমনা ব্যক্তি গুলো শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছে বাগ্মিতা, সৃষ্টিশীলতা, মননশীলতা ও মানবতাবাদের মাধ্যমে। তবে বোড়িংও মনে হয়েছিল। কিন্তু সমকাল সুহৃদ কর্মীদের পরিচালনায় প্রানবন্ত হলো পুরো সমাবেশ স্থল। স্থান রাজশাহী কলেজ মিলনায়তন। সারা দেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের এ তারূণ্যের মিলনমেলা এবার রাজশাহীতে।

আস্তে আস্তে তরুণ যুবক-যুবতীদের আনাগোনায় কানায় কানায় পূর্ন অডিটোরিয়াম। শুরু হলো আলোচনা কিন্তু দর্শকের মনাকর্ষনের জন্য একটু ব্রেক দিয়েই বিনোদন নাচ,গান,কবিতায় ভালোই সময় কেটেছে বললে অতুক্তি হবেনা। এসময় যুবকদের তারূণ্যে আলোকচ্ছটা দিতে তরুণদের মাঝে চলে এলেন উপমহাদেশের বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।

তিনি বলেন, হে তরুণরা তোমাদের জীবনে কঠিন আচড় এখনো পড়েনি। কর্মস্পৃহা পদে পদে তোমাকে বাধা দিবে। জীবনের এ কঠিন মুহূর্তে সময়কে কাজে লাগাতে হবে। আয়েশের জন্য এ পৃথিবী নয়। দেশ জাতির স্বার্থে তোমাকে সংগ্রামী হতে হবে। তোমার ভিতরের কু-প্রবৃত্তি গুলোকে পরিহার করে গড়ে তুলবে সমতার পৃথিবী। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। তরুণরা আজ পরনিশীল হয়ে পড়েছে। তাদের ব্যক্তিগত কোনো অভিমত নেই।

অন্যদিকে চার দেয়ালের ভিতরেই সীমাবদ্ধ আজ তরুনীরা। তোমাদের তারূণ্যের স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। প্রতিজ্ঞা করতে হবে আমরাই গড়ব আগামীর বিশ্ব। সমতায় ভরে যাবে এ বিশ্ব। লাঞ্চিত হবেনা কোনো মা-বোন। তরুণদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় কুমার ভৌমিক।

ঘড়ির কাটাই বলে দিল দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতার জো নেই। পর্যায়ক্রমে প্রাসঙ্গিক,বস্তুনিষ্ট ও যুক্তি নির্ভর বক্তব্য দিতে শুরু করলেন গুণীজনরা। আমারে প্রতিজ্ঞা নিতে হবে বাড়ির কাজের বুয়াকেও ‘তুই’ শব্দ সম্বোধন না করে ‘তুমিতে’ প্রবর্তন করতে। নারীকে উপযুক্ত সম্মান দেখাতে শিখতে হবে। বিশ্বনবী মুহম্মদ (স:), ভলতেয়ারসহ কালমার্কস এর মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের মুখে উচ্চারিত হয়েছিল সাম্যবাদ তথা সমতার বাণী। এসব কথার মাধ্যমে তরুণদের উদ্দেশ্যে মনের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে পরামর্শ দিলেন সমকালের প্রচার সম্পাক। মনে রাখতে বাধা নেই অনুষ্ঠানের একটি অংশ জুড়ে ছিল উত্তরবঙ্গের সেই গাম্ভিরা।

দ্বৈত কবিতা পাঠ। সব মিলে আলোচ্য বিষয় ছিল বিশ্ব নারী দিবসের আলোকে ‘নারী-পুরুষের সমতা।’ সমতাই হোক আগামীর অঙ্গিকার। আজকের এ তরুণরাই গড়বে আগামীর বিশ্ব। সেই সুবাদে মঞ্চে কয়েকজন তরুণ-তরুণীর ব্যক্তিগত অভিমত নিলে তারা তাদের ভবিষ্যৎ দায়িত্ববোধের অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। ঘড়ির কাটাই আড্ডার ছলে বলে দিল এখন লাঞ্চ টাইম। ব্যস গান গল্পে চলল খাওয়া দাওয়া। এবার বাড়ি ফেরার পালা। অনুষ্ঠান কেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে দেশের সেরা কলেজে বন্ধু-বান্ধবীর সাথে চলল কিছুক্ষণ আড্ডাবাজি। অভিজ্ঞতা শেয়ার শেষে ফিরলুম নিজ বাস ভূমে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!