• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তারেক আপাতত বাংলাদেশের নাগরিক নন: আইনমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৬, ২০১৮, ১১:৪৭ পিএম
তারেক আপাতত বাংলাদেশের নাগরিক নন: আইনমন্ত্রী

ঢাকা : পাসপোর্ট সমর্পণ করে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আপাতত বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নেই। এ কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে তিনি বলেছেন, যেহেতু জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক তাই ভবিষ্যতে নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

২৮ এপ্রিল শনিবার জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শেষে এসব কথা বলেন।

কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে আশ্রয় পাওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন? এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক তো নয়ই, উনি (তারেক রহমান) পাসপোর্ট সারেন্ডার করে দিয়েছেন।’ আনিসুল হক বলেন, ‘পাসপোর্ট সারেন্ডার’ করার পর তিনি যখন অন্য দেশে গেছেন, তখন ব্রিটিশ সরকারের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে গেছেন। এর মানে এই নয় কি যে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সারেন্ডার করেছেন? অবকোর্স (অবশ্যই)।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যে তথ্য জানতে পেরেছি তা হচ্ছে- একজন পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান। তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য তার পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছেন। এর মানে তিনি বলেছেন, আপাতত আমি বাংলাদেশের নাগরিক থাকতে চাই না। আমি এ পাসপোর্টটা সারেন্ডার করলাম, আপনারা আমাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিন। তিনি যখন ঢাকা থেকে লন্ডন গিয়েছিলেন তখন তিনি মুচলেকা দিয়ে গিয়েছিলেন। গিয়ে তিনি পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছেন এর মানে হচ্ছে, তিনি স্বেচ্ছায় বলছেন আমি আর বাংলাদেশের নাগরিক থাকতে চাই না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিক না হলে সরকার কীভাবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবে?

এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অপরাধ করেছেন, তখন তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। এটা ঠিক যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। এ চুক্তি করতে কোনো বাধা নেই। আমরা সেই রকম আলাপ-আলোচনাও করছি।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, এটা ছাড়াও মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স অ্যাক্টের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনা যায়। জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে এ আইন থাকলে ট্রান্স বর্ডার অপরাধ বা যেকোনো অপরাধী এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যায় তাকে যেন ধরে আনার সুবিধাটা থাকে।

মন্ত্রী ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপনের বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি জানান, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পারিবারিক, দেওয়ানি, ফৌজদারিসহ বিভিন্ন আইনগত বিষয়ে সর্বমোট ৩০ হাজার ৯৪৫ জনকে আইনগত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৭৮০ জন নারী এবং ১২ হাজার ১৬৫ জন পুরুষ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!