• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘তারেকের বিরুদ্ধে সাজা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র’


নিজস্ব প্রতিবেদক  জুলাই ২৪, ২০১৬, ০৮:৪০ পিএম
‘তারেকের বিরুদ্ধে সাজা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রায় প্রমাণ করে সরকার বিএনপির চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এরপর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে দলের বাকি নেতাদের সাজা দেয়া হবে বলে আশঙ্কা করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই।

রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বর্তমান সময়কে বিএনপির সংকটময় উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, একদিকে জাতিকে ধ্বংস করার জন্য, দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার জন্য জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসের কথা আনা হচ্ছে। অন্যদিকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য প্রধান বিরোধী দলকে ধ্বংস করার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। তারেক রহমানের মামলার রায় সে নীলনকশার শেষ পর্যায়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঘরে বসে থাকার সময় নেই। আজকে আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। তারেক রহমান সাহেবের রায় প্রমাণ করেছে যে তারা আমাদের বুকের মধ্যে হাত দিয়েছে। এরপর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আছেন, সিনিয়র নেতারা আছেন, আমরা কেউ এখান থেকে বাদ যাব না।’

খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হতে পারে, এমন আশঙ্কা করে সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়ে গেলে মানুষ বসে বসে চীনা বাদাম খাবে না। ১৯৫২ সালে ১৯৭১ সালে মানুষ চীনা বাদাম খায়নি, বুকের রক্ত দিয়ে অধিকার আদায় করেছে।

বিএনপির শীর্ষ থেকে গ্রাম পর্যায়ের নেতাদের সাজা দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে থাকা মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য ইতিমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে তিনটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, তারেক রহমানকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। যাতে তিনি রাজনীতি এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে দিয়ে এই উদ্দেশ্য হাসিল করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে সরকারকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য উদ্ধৃত করে মির্জা ফখরুল বলেন, সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশের সঙ্গে আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা স্বৈরাচারের সঙ্গে থাকবে না। বন্ধু দেশগুলোর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ বন্ধুত্ব চায়, সহযোগিতা চায়। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে তা সহ্য করা হবে না।

ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!