• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তাহলে তো ঘটনা ভয়ঙ্কর!


ফেসবুক থেকে ডেস্ক মে ২৬, ২০১৭, ১০:০২ পিএম
তাহলে তো ঘটনা ভয়ঙ্কর!

ঢাকা: দুদিন ধরে ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে এক রোগা-পাতলা বৃদ্ধের কাঁধে বসে আছেন হৃষ্টপুষ্ট এক ভদ্রলোক। আয়েশি ভঙ্গিতে কথা বলছেন মোবাইলে। আর বৃদ্ধ নুয়ে পড়েছেন মাটির দিকে। ছবিটা দেখলেই চরম ক্ষোভ জন্ম নিচ্ছে। যেই দেখছেন সেই ক্ষুব্ধ হয়ে ‘বেয়াদব’ লোকটির উদ্দেশ্যে নানা কুমন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছেন।

ছবির ওপরে স্ট্যাটাসে সেই ভদ্রলোকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মাইনুল ইসলাম। তিনি পিরোজপুর জেলার ৫৬ নং মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সেই সঙ্গে আরো পরিচয় দেয়া হয়েছে, তিনি মঠবাড়িয়া পৌর মেয়র রাফিউদ্দিন ফেরদৌসের ভাগিনা...।

কিন্তু আজ শুক্রবার (২৬ মে) ঘটনার তৃতীয় দিনে এসে অবাক করা তথ্য পাওয়া গেল। বৃদ্ধের কাঁধে বসে মোবাইলে কথা বলা শিক্ষক মাইনুল দাবি করলেন, কস্মিনকালেও এই কাজ করেননি। জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বললেন, ‘একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার ছবি এডিট করে ব্যবহার করেছে। প্রকৃতপক্ষে এটা আমি নই।’

‘অভিযুক্ত’ মাইনুল ব্যাখ্যা করলেন, ‘আমার এক বন্ধু বলার পর আমি ছবিটা দেখি। এর নিচে লোকেরা যে আমার নাম তুলে গালিগালাজ করছে সেটাও দেখি। এরপর সোজা আমি চলে গেছি থানায়। পুলিশকে খুলে বললাম। তারা বললেন একটা ডায়েরি করতে। এরপর বিষয়টা পুলিশ দেখছে।

ফেসবুকে এভাবে শিক্ষকের নামে অপপ্রচার আর তীব্র গালাগালিতে তার ব্যক্তিগত জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, ‘এর চেয়ে মার্ডার করা ভালো ছিল।’

মঠবাড়িয়া থানার উপ সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন কবির জানালেন, গেল রাতে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম থানায় ডায়েরি করেছেন। তাতে উল্লেখ করেছেন, তার ছবি ব্যবহার করে কে বা কারা এক বৃদ্ধের সঙ্গে আপত্তিকরভাবে তার ছবি পোস্ট করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।

তবে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা তা এখন শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে এমন উদ্ভট ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক মাইনুল বললেন, ‘কাকে সন্দেহ করব, বলেন? আর কেনই বা করব?

তবে যে বৃদ্ধ লোকটির ঘাড়ে বসে থাকার ছবি প্রচার হয়েছে তেমন কোনো মানুষ মঠবাড়িয়ায় খুঁজেও পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে যেকোনো নির্দোষ মানুষও সামাজিকভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। তবে এসব কিছুই নির্ভর করছে সত্য জানার ওপর। সেজন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই হবে।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!