• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘তিন কারণে কাঁচা চামড়ায় দরপতন’


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২৬, ২০১৮, ০৬:৩৫ পিএম
‘তিন কারণে কাঁচা চামড়ায় দরপতন’

ফাইল ফটো

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এবার তিন কারণে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দরপতন হয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

রোববার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঈদের আগে চামড়ার দাম কমানোর যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল সেটা সঠিক ছিল। পত্র-পত্রিকায় দেখলাম চামড়া নিয়ে একটা সংকট দেখা দিয়েছে। আমি যখন দামটা কমালাম তখন সাংবাদিকদের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া দেখেছি দাম কেন কমালাম।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দাম কমানোর পরও কিন্তু এখন বিক্রি হচ্ছে না, এর কারণ হলো- এক নম্বর গতবারের চামড়া রয়ে গেছে, দুই যারা ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের মালিক তারা বলছে ব্যাংকের ঋণ সঠিক সময়ে পাইনি, তিন সাভার যে শিল্পগুলো হওয়ার কথা সে শিল্গগুলো গড়ে উঠেনি। এসব নানা কারণে চামড়া কেনা-বেচা নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, তবে ব্যবসায়ীরা শনিবার (২৫ আগস্ট) আশ্বাস দিয়েছেন এটা থাকবে না ঠিক হয়ে যাবে। আমরা যে দামটা কমিয়েছিলাম সেই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

ব্যাংক ঋণের বিষয় ব্যবসায়ীদের কোন সহায়তা করা হবে কি না- জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্যাংক ঋণ নেয়া-পাওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো হাত নেই, এটি গ্রাহক ও ব্যাংকের মধ্যকার বিষয়। শনিবার (২৫ আগস্ট) ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন বলেছেন যে সংকট দেখা দিয়েছে তা থাকবে না, দুই একদিনের মধ্যে অবসান হবে। রোববার (২৬ আগস্ট) থেকে অফিস খোলা ব্যাংক খোলা আমার মনে হয় সংকটের সমাধান হবে।

কাঁচা চামড়া রপ্তানির কোনো সুযোগ দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা চালু করলে আমাদের চামড়া শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। এ রকম কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

বুধবার (২২ আগস্ট) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়েছে। এবার কোরবানি করা পশুর কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য পায়নি কোরবানিদাতারা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য গত বছরের চেয়ে কম দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম পাঁচ টাকা কমিয়ে ধরা হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা। গত বছর এ দাম ছিল ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০-৫৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা।

অপরদিকে প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম সারাদেশে ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ২০-২২ টাকা। আর বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩-১৫ টাকা। যা গত বছর ছিল ১৫-১৭ টাকা।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!