• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
বাজেট ২০১৭-১৮

তিন খাতেই ব্যয় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৩০, ২০১৭, ০৩:৪৯ পিএম
তিন খাতেই ব্যয় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা : আগামী অর্থবছরের বাজেটের একটি বড় অংশই চলে যাবে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ভর্তুকি ও ঋণের সুদ পরিশোধে। ৪ লাখ কোটি টাকার বিশাল বাজেটের ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে এ তিন খাতে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ তিন খাতে বরাদ্দ রয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। সে হিসেবে এ তিন খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ১৬ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৪ লাখ ২৭০ কোটি টাকা। বিশাল ব্যয়ের এ বাজেটে অনুন্নয়নসহ অন্যান্য ব্যয় খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের বা জিডিপির ১১ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যয় হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা পরিশোধে। এ খাতে ব্যয় হবে জিডিপির ২ দশমিক ৪ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় হবে দেশি ও বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ। এ খাতে ব্যয় হবে জিডিপির ১ দশমিক ৯ শতাংশ। আর ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ব্যয় হবে জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশ। এ তিন খাতে আগামী অর্থবছরের বাজেটের প্রায় ৩১ শতাংশ ব্যয় হবে। আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিষয়গুলো বিস্তারিত তুলে ধরবেন।

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা : আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকারি সাড়ে ১২ লাখ চাকরিজীবীর বেতন-ভাতা পরিশোধে ৫২ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে যা ৪৯ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা রয়েছে। চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ২ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। শতভাগ পেনশন সমর্পণ কারীদের পহেলা বৈশাখ ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্তের কারণে আসন্ন বাজেটে এ ব্যয় বাড়ছে।

এছাড়া বাজেটে ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের প্রতিস্থাপনের সুযোগ দেয়ার ঘোষণা আসতে পারে।

সুদ পরিশোধ : আগামী অর্থবছরের বাজেট শুধু আকারের দিক থেকে নয়, ঘাটতির দিক থেকেও অতীতের রেকর্ড ভাঙবে। আসন্ন বাজেটে ঘাটতি ধরা হতে পারে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি বাজেটে যা ছিল ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে বিদেশি উৎস থেকে (নিট) নেয়া হতে পারে ৫৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়া হতে পারে ৪৮ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা।

এছাড়া ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ২৫ হাজার ৮২০ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হতে পারে। বছর শেষে এসব ঋণের সুদ বাবদ খরচ হবে ৪২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।

ভর্তুকি ও প্রণোদনা : আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ হয়েছে ২৩ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এ হিসেবে ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ ঋণ বাড়ছে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। আসন্ন বাজেটে খাদ্যে ভর্তুকি বাবদ ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত অন্যান্য খাতে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি রাখা হচ্ছে। আর প্রণোদনা বাবদ বাজেটে কৃষি খাতে ৯ হাজার কোটি টাকা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অনুকূলে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। রফতানিতে ৪ হাজার কোটি টাকা ও পাটজাত দ্রব্যে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

এছাড়া অন্যান্য খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জন্য কোনো ভর্তুকি রাখা হচ্ছে না। বিশ্ববাজারের তুলনায় অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলে লাভ থাকায় এ খাতে কোনো ভর্তুকি রাখছে না সরকার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!