• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিন ছাত্রীকে নেশা খাইয়ে শ্লীলতাহানি করেন এই শিক্ষক


চাঁদপুর প্রতিনিধি জুন ১৮, ২০১৭, ০৫:২২ পিএম
তিন ছাত্রীকে নেশা খাইয়ে শ্লীলতাহানি করেন এই শিক্ষক

চাঁদপুর: তিন ছাত্রীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে শ্লীলতাহানি করেছিলেন শিক্ষক মুসলিম সরদার মিশু। এবার তিনি ‘যৌতুকের দাবিতে’ স্ত্রী কুলসুমা বেগমকে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় শনিবার (১৭ জুন) রাতে শহরের তালতলা এলাকা থেকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। স্ত্রী কুলসুমা বেগমকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবী।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি ওয়ালী উল্লাহ জানান, গ্রেপ্তার মুসলিম সরদার মিশু মতলব দক্ষিণ উপজেলার নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সরকারি জসিমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ঘটনার পর কুলসুমা বাদী হয়ে স্বামী মিশুসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

কুলসুমার বড় ভাই হানিফ খন্দকার বলেন, আট বছর আগে বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে তাকে চাপ দিয়ে আসছিল মিশু। পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হলেও মিশু আবারও টাকা দাবি করে তার বোনকে মারধর করতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ছয় মাস আগে কুলসুমা এক বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে শহরের একটি বাড়িতে আলাদা থাকতে শুরু করেন।

এর মধ্যেই চাঁদপুর সরকারি কলেজে কর্তব্যরত অবস্থায় তিন ছাত্রীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে মিশুর বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীদের অভিযোগে তাকে লালমনিরহাটে বদলি করা হয়।

কুলসুমা বলেন, লালমনিরহাট থেকে বদলি হয়ে আবার চাঁদপুর আসার জন্য মিশু আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করলে আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই। শুক্রবার বিকেলে মিশু আমাকে ফোন করে লালমনিরহাটে যাওয়ার আগে মেয়েকে দেখতে চায়। আমি তাকে বাসায় আসতে বলি। সন্ধ্যার দিকে তার ভাই আব্দুল হকসহ বাসায় ঢুকেই আমাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে আমি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!