• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিন জেলায় পাহাড়ধসে নিহত ৫৫


নিউজ ডেস্ক জুন ১৩, ২০১৭, ০৩:২৫ পিএম
তিন জেলায় পাহাড়ধসে নিহত ৫৫

চট্টগ্রাম: টানা বর্ষণে রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম পাহাড়ি তিন জেলায় ভূমিধসে সেনা কর্মকর্তাসহ নিহতের ৫৫ জনে প্রাণহানি ঘটেছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাঙামাটি সদর ও কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় রাতে পাহাড় ধসে ৩৭ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে নিহত হয়েছেন ১০ এবং বান্দরবানে ৮জন নিহত হয়েছেন।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের দুর্গম এলাকা দোপাছড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের শামুকছড়িতে পাহাড় ধসে ১ শিশু এবং ছনবনিয়ায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- শামুকছড়ির শিশু মাহিয়া(৩), ছনবনিয়ার ২নং ওয়ার্ডের উপজাতি এলাকার সিনসাও কেয়াংয়ের স্ত্রী মোকা ইয়ং কিয়াং (৫০), কেলাও অং কেয়াংয়ের কিশোরী কন্যা মেমো কেয়াং (১৩) ও ফেলাও কেয়াংয়ের শিশু কন্যা কেওচা কেয়াং (১০)। 

জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় রাজানগর এবং ইসলামপুর ইউনিয়নে পাহাড় ধসে ৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে রাজানগরে ৪ জন ও ইসলামপুরে ইউনিয়েনে ২ জন মারা যান। রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল আলম তালুকদার জানান, মঙ্গলবার ভোরে পাহাড়ের পাদদেশে মাটির ঘরে বাস করা মোহাম্মদ হোসেন (৪৭) ও তার কিশেরা সন্তান এবং নজরুল ইসলাম  (৫২) ও  স্ত্রী পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে মারা গেছেন। তবে ইসলামপুর ইউনিয়নে নিহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

রাঙামাটি শহরে ও কাপ্তাই উপজেলায় টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে ও গাছচাপায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা চালানো সময় পাহাড়ের মাটিচাপা পড়ে ২ সেনা কর্মকর্তাসহ ৬ সেনা নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে জেলা শহর থেকে ১১ জন ও কাপ্তাই উপজেলা থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- শহরের ভেদভেদি এলাকার রুমা আক্তার, নুড়িয়া আক্তার, হাজেরা বেগম, সোনালী চাকমা, অমিত চাকমা, আইয়ুস মল্লিক, লিটন মল্লিক, চুমকি দাস, ইকবাল হোসেন। কাপ্তাই উপজেলার কারিগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা অনুচিং মারমা ও নিকি মারমা। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে পড়ে ইকবাল নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন।

অপরদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মানিকছড়িতে সড়ক থেকে মাটি অপসারণের সময় পাহাড়ের মাটিচাপায় মেজর মাহফুজ ও ক্যাপ্টেন শামীম নামে দুই সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তারা রাঙ্গমাটি সেনা রিজিয়নে কর্মরত ছিলেন। বাঁকিদের নাম এখনো জানা যায়নি।

কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছায়া মং মারমা জানান, উপজেলার কারিগরপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে দুইজন নিহত হয়েছেন। তাদের মৃতদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

এদিকে সোমবার রাত থেকে রাঙ্গামাটি শহরের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া রাঙামাটির সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। এতে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

বান্দরবানে বিভিন্ন এলাকায় অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ছয়জন। মঙ্গলবার ভোররাত পৌনের ৪টার দিকে জেলার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কালাঘাটা এলাকার ত্রিপুরা পাড়াসহ দুর্গম কয়েকটি এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। তারা হলেন- রেবা ত্রিপুরা (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীসহ শুভ বড়ুয়া (৮), মিঠু বড়ুয়া (৬), লতা বড়ুয়া (৫)। এখানেও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!