• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তৃতীয়বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই


ক্রীড়া ডেস্ক মে ২২, ২০১৭, ১২:৪৯ পিএম
তৃতীয়বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই

ঢাকা : টার্গেট ১৩০ রানের। শিরোপাটা তো রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসেরই মনে হচ্ছিল। কিন্তু তা আর হলো কই! শেষ ওভারের নাটকীয়তায় উল্টো ১ রানে কাল আইপিএলের ফাইনাল জিতল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

১২৯ রানের পুঁজি নিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিততে পারে কেউ, কল্পনাও করা অসম্ভব। যেখানে পুনের মত দল প্রতিপক্ষ; কিন্তু কী অসাধারণ ম্যাচই না উপহার দিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলাররা। ১২৯ রানকেও তারা বানিয়ে ফেলেছে বিশাল হিমালয়ের সমান দৃঢ়। শেষ পর্যন্ত সেই দৃঢ়তা ধরে রাখতে পারলো তারা। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ১ রানে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসকে হারিয়ে তৃতীয়বারেরমত আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন হলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

শেষ বলে জেতার জন্য পুনের দরকার ছিল চার রান। ক্রিস্টিয়ান দুই রান নিয়ে রানআউট হলে মুম্বাই চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হল আইপিএলে। রোববার হায়দরাবাদের উপলে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১৩০ তাড়া করতে নামা পুনে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ৫০ বলে ৫১ রানে জয়ের পথেই ছিল।

কিন্তু শেষ ওভারে তার স্বদেশী মুম্বাইয়ের অসি পেসার মিচেল জনসন পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় নাটকীয়ভাবে ঘুরিয়ে দেন। এরমধ্যে স্মিথের উইকেটও ছিল। ৩৮ বলে ৪৪ রান করেন পুনের ওপেনার আজিংকা রাহানে। জনসন তিনটি ও বুমরাহ দুটি উইকেট নেন। ছয় উইকেটে ১২৮ রানে থামে পুনে।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স মাত্র ৭৯ রানেই সাত উইকেট হারালে তাদের শিরোপা-স্বপ্ন ধূসর হয়ে যায়। ক্রনাল পান্ডিয়া ৩৮ বলে ৪৭ রান করেন। এবারের আইপিএলে এটাই তার সর্বোচ্চ রান। মুম্বাই অধিনাযক রোহিত শর্মা ২৪ রান করেন ২২ বল খেলে। দুই অংকের রান করেছেন মুম্বাইয়ের আর মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান। দুটি করে উইকেট নেন পুনের জয়দেব, অ্যাডাম জাম্পা ও ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান।

আইপিএলের ফাইনালে এর আগে ২০০৯ সালে প্রথমে ব্যাট করে ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল ডেকান চার্জার্স। তা সত্ত্বেও তারা ৬ রানে হারিয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরকে। এবার ১২৯ করেও জয় তুলে নেয় মুম্বাই। সেই সঙ্গে তৃতীয়বারের মতো আইপিএলের শিরোপা জিতে নিলো তারা।

ম্যাচ শেষে একদিনে মুম্বাইর খেলোয়াড়দের উল্লাসে যেমন আনন্দঘণ পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তেমনি আরেকদিকে স্টিভেন স্মিথের অশ্রুসজল চোখ একটা ভারী পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিল। খেলাধুলায় তো এটাই নিয়ম। এ নিয়ম মেনেই প্রতিযোগিতায় নামতে হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!