• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

তেল উৎপাদনে সৌদিকে পেছনে ফেলে শীর্ষে রাশিয়া


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭, ০৭:৪৩ পিএম
তেল উৎপাদনে সৌদিকে পেছনে ফেলে শীর্ষে রাশিয়া

ঢাকা: বরাবরই তেল উৎপাদনে শীর্ষ থাকা দেশ সৌদি আরবকে পেছনে ফেলে দিয়েছে এবার রাশিয়া। বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম কমায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অপরিশোধিত তেল উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছিল। এবার সেই সুযোগে রেকর্ড পরিমাণ তেল উৎপাদন করে রাশিয়া শীর্ষ অবস্থানে চলে গিয়েছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ২০১৬ সালের ডিসেম্বর শেষে তেল উৎপাদনের চিত্র তুলে ধরে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। 

আঞ্চলিক তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের আগে তেল সরবরাহের লাগাম টেনে ধরতে দুই দেশই ওই সময় বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করেছিল।  রিয়াদে জয়েন্ট অর্গানাইজেশন ডাটা ইনিশিয়েটিভের (জেওডিআই) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে রাশিয়া দিনে ১ কোটি ৪৯ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছে। তবে নভেম্বরের চেয়ে ডিসেম্বরে রাশিয়া দিনে ২৯ হাজার ব্যারেল কম তেল উৎপাদন করেছে। 

অন্যদিকে সৌদি আরব ডিসেম্বরে ১ কোটি ৪৬ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছে। তবে এ পরিমাণ আগের মাসের চেয়ে কম। নভেম্বরে সৌদি আরবের তেল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল দিনে ১ কোটি ৭২ লাখ ব্যারেল। গত বছরের মার্চের পর এই প্রথম তেল উৎপাদনে সৌদি আরবকে পেছনে ফেলেছে রাশিয়া। গত বছরের নভেম্বরের শেষে তেল সরবরাহের নতুন সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব ও তেল রফতনিকারক দেশের সংগঠন ওপেকের সদস্যরা। ওই সময় বলা হয়, আগামী ছয় মাস আগের চেয়ে ১২ লাখ ব্যারেল তেল কম সরবরাহ করা হবে। আর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে। 

রাশিয়াসহ ওপেকের সদস্য নয় এমন দেশগুলো আরো কড়াকড়ি আরোপের অঙ্গীকার করে। এরপরই নভেম্বরের শেষে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। 

জেওডিআই’র তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে দিনে ৮৮ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে শীর্ষ দেশের তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগের মাসে দেশটি দিনে ৮৯ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। এছাড়া সৌদি আরবের অপরিশোধিত তেল রফতানির পরিমাণও দিনে ৮০ লাখ ব্যারেল কমেছে। ২০০৩ সালের পর সৌদি আরবের তেল রফতানিতে এ ধাক্কা সবচেয়ে বেশি।

তেল উৎপাদন ও রপ্তানির উপর নির্ভর করে দাঁড়িয়ে আছে মূলত সৌদি অর্থনীতি। বৈশ্বিক বাজারে তেলের দর কমায় দেশটির নির্মাণ শিল্পও মুখ ধুবরে পড়ে। ফলে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি অনেক শ্রমিকই কর্মহীন হয়ে পড়ে। যার প্রভাব কিছুটা পড়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর। গত বছর রেমিটেন্স কমেছে বাংলাদেশের। বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ৪০ লাখ প্রবাসী রয়েছে বাংলাদেশের।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!