• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঝেটিয়ে বিদায় করে সেমিতে ভারত


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ১১, ২০১৭, ১০:২৮ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঝেটিয়ে বিদায় করে সেমিতে ভারত

ঢাকা: দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্টে গেলেই ভেঙে পড়ে। এটা এখন ধ্রুব সত্য হয়ে গেছে। চাপের মুখে ভেঙে পড়াটা যেন প্রোটিয়াদের মজ্জাগত স্বভাব। তা না হলে ভারতের বিপক্ষে অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে দারুন শুরু করেও কেন তাঁরা ভেঙে পড়বে?

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে হাশিম আমলা আর কুইন্টন ডি কক মিলে তুলে ফেলেন ৭৬ রান। এমন শুরুর পরও তাঁদের কি-না অলআউট হতে হয়েছে ১৯১ রানে। এই রান টপকাতে ভারতের কোনো সমস্যাই হয়নি। তাঁরা ৩৮ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই ম্যাচটি জিতে নিয়েছে। ফলে ‘বি’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে গেল ভারত। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও পেয়ে গেল তিন সেমি ফাইনালিস্টকে। ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ভারত।

রান তাড়া করতে গিয়ে ২৩ রানে রোহিত শর্মাকে হারিয়ে যা একটু অস্বস্তিতে পড়েছিল ভারত। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে শিখর ধাওয়ান ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি ১২৮ রান যোগ করে ভারতকে জয়ের কাছে নিয়ে যায়। ১৫১ রানে ৭৮ করে ফেরেন ধাওয়ান। কোহলি জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু সারেন যুবরাজ সিংকে নিয়ে। কোহলি ৭৬ ও যুবরাজ ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। মরনে মরকেল ও ইমরান তাহির পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

এরআগে দক্ষিণ আফ্রিকা বিনা উইকেটে ৭৬ থেকে আমলা ফেরার পরও ১ উইকেটে ১১৬ তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আরেক ওপেনার ডি কক ফেরার সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দলটি। শুরু হলো ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার মিছিল! প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই দুই অঙ্ক ছুঁয়েও ৪৪.৩ ওভারে অলআউট। সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছেন ডি কক ৭২ বলে। এছাড়া ফ্যাফ ডু প্লেসি ৩৬, আমলা ৩৫ এবং জেপি ডুমিনি ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

ভারতের একক কোনো বোলার অসাধারণ বোলিং করেননি। বরং তাঁদের বোলিং ছিল ‘দশে মিলে করি কাজ।’ ভুবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রীত বুমরাহ যথাক্রমে ২৮ ও ৩৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!