• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণাঞ্চলে আ.লীগের মনোনয়নে আসছে বড় পরিবর্তন


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮, ১০:০২ এএম
দক্ষিণাঞ্চলে আ.লীগের মনোনয়নে আসছে বড় পরিবর্তন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তালিকায় আসছে বড় ধরনের পরিবর্তন। নীতি নির্ধারকরা বলছেন, জনসম্পৃক্ত ও বিশ্বস্ত নেতাদের মধ্য থেকে বাছাই করা হয়েছে অর্ধশত তরুণকে। উদ্দেশ্য নতুন নেতৃত্ব তৈরি। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ সংসদ সদস্যদের জন্য আসছে নির্বাচনে থাকছে কঠিন বার্তা।

সাংগঠনিক সফর কিংবা অভ্যন্তরীণ সভা। তৎপরতার দৌড়ে বছরের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের দখলে নির্বাচনী মাঠ। দলীয় নেতারা বলছেন, ৩ ধাপের জরিপ শেষে, এখন অপেক্ষা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকার জন্য।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এবার একটু তাড়াতাড়ি করার চিন্তা করা হচ্ছে।

২০১৪ এর নির্বাচনে পঞ্চাশেরও বেশি প্রার্থীকে পরিবর্তন করা হয়েছিলো মনোনয়নের প্রশ্নে। এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখেও চলছে নতুন মুখ নিয়ে নানামুখী গুঞ্জন। দলীয় সূত্র বলছে, ঢাকা, ফরিদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ২৪০ প্রার্থীর নতুন তালিকা। তবে তারুণ্য কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে এবারের মনোনয়ন রাজনীতিতে?

আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, পার্লামেন্টের দিকে তাকিয়ে দেখেন, প্রায় অর্ধেকের বেশি তরুণ এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় তরুণ নেতৃত্বে বিশ্বাস করে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী দিনে দেশের উন্নয়ন আমরা যুবসমাজকে বিশেষ গুরুত্ব দিবো।

আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের বিষয়ে ফারুক খান বলেন, যারা এলাকায় জনপ্রিয়তা রক্ষা করতে পারেনি, দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রক্ষা করতে পারেনি তাদেরকে সবসময় আওয়ামী লীগ পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়নি। আগামী নির্বাচনেও প্রায় আশি থেকে একশ আসনে পরিবর্তন হতে পারে।

আর ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একশ কেন, একশর বেশিও পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের যারা আগে ছাত্রলীগ করতো তারা রাজনীতিতে এসেছে। কিছুটা বয়স হয়েছে। তাদেরকে বিবেচনা করা হচ্ছে।

নেতাদের কথায় এটা স্পষ্ট, আসছে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা কি ধরণের প্রার্থী চান তা এরিমধ্যে চূড়ান্ত করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ১৪ দলীয় জোটের জন্য কী ভাবছে দলটি?

১৪ দলের সমন্বয়কে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রার্থীর একটা হার তরুণদের মধ্য থেকে আসবে। এটা দলের মধ্য থেকে হতে পারে ১৪ দলের মধ্য থেকে হতে পারে। এটা তো নির্বাচনের সময় পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে একধরণের পরিস্থিতি দাঁড়াবে। তখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কীভাবে আমরা নির্বাচন করবো। আর বিএনপি যদি নির্বাচন না করে তাহলেও একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

১৪ দলের আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে শরীক দলগুলোর প্রার্থীদের যোগ্যতা বিশ্লেষণ করা হবে বলেও জানান এ আওয়ামী লীগ নেতা।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!