• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে ‘শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭, ০২:১৯ পিএম
দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে ‘শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’

ঢাকা: ‘শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’ তেজগাঁও শাখার শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাসিক আলোচনা সভা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পারটেক্স স্টার গ্রুপের জিএম মোহাম্মদ ফারুক।

অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. পারভেজ সজল, মো. ফারুক আহমেদ, শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মো. সাকিব হুসাইন, জহিরুল ইসলাম জয় সরকার, সাব্বির আহমেদ এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যগণ।

সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’ একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সংগঠনের সকল পর্যায়ের সদস্য স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে থাকেন এখানে। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যারা অসহায়-গরিব ঘরের সন্তান আছে আমরা তাদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিমাসে খাতা-কলম ও টিফিনসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। একইসঙ্গে নিয়মিত ইংরেজি, বাংলা ও গণিত বিষয়ে বিনামূল্যে পাঠদান করাচ্ছে ‘শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ ফারুক বলেন, সমাজের সকল মানুষ সাধ্যমতো এগিয়ে এলে শিক্ষাজীবন থেকে ঝরেপড়া শিশুর সংখ্যা কমে আসবে। গরীব-অসহায় মানুষগুলোও তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহী হবেন। সংগঠনটির উদ্যোগ প্রশংসনীয়। পার্টেক্স থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বক্তব্য শেষ কিরেন তিনি।

গরিব ও অসহায় শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে ‘শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’র এই কার্যক্রম। সংগঠনটির এ কার্যক্রমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০ জন দরিদ্র অসহায় শিশুকে তাদের পড়ালেখার মান বৃদ্ধি ও ঝরে না পড়ার লক্ষে বিনামূল্যে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পাইভেট পড়ানো হয়। প্রতিমাসে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ‘শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’। ১১টি সেন্টারে ৭৪০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। আর দুটি সেন্টারে সংস্কৃতি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই ৩০টি কম্পিউটার নিয়ে একটি ল্যাব তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে বিনামূল্যে কম্পিউটার শিক্ষা দেবে সংগঠনটি। নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবাও দিচ্ছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ মিজানুর রহমান সকল সহকর্মীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কঠোর পরিশ্রম করে সংগঠনের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিচ্ছেন। এর জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য উৎসাহিত হচ্ছে। সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা বিনা পারিশ্রমিকে সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!