• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে বৈশাখী টিভি!


বিনোদন প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭, ০৩:২৭ পিএম
দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে বৈশাখী টিভি!

টিপু আলম

ঢাকা: বদলে গেছে বৈশাখী টিভি। দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে এখন এ চ্যানেলটি। এমন তথ্য পাওয়া গেছে টিআরপি রিপোর্ট থেকে। এ সাফল্যের নেপথ্য কারিগর হলেন বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম। শুধুমাত্র তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই শীর্ষে উঠে এসেছে এবং দর্শকনন্দিত হয়েছে বৈশাখী টিভি। বৈশাখী টিভি ভবনে কথা হয় তার সঙ্গে।

টিপু আলম বলেন, চলতি ২৯ থেকে ৩৪তম এই ৬ সপ্তাহের মধ্যে টিআরপি রিপোর্টে বৈশাখী টিভি ৩ বার প্রথম, ১ বার দ্বিতীয় এবং ২ বার চতুর্থ হয়। আমরা জানি, টিআরপি একটা বিষয় কিন্তু আমরা আমাদের স্ক্রীন সাজাই আপামর দর্শক চাহিদার কথা চিন্তা করে। যে করেই হোক তারা যাতে সেরা বিনোদনটা উপভোগ করতে পারে আমাদের দৃষ্টি থাকে আসলে সেদিকেই।

সে কারণেই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে আমাদের চ্যানেলটি। এ অর্জন বৈশাখী টিভির কর্মকর্তা, কর্মচারিসহ সংশ্লিষ্ট সবার। আমার একার কৃতিত্ব নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণেই আমরা এতদূর আসতে পেরেছি। সে প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখতে চাই আগামীতেও।

অপর এক প্রসঙ্গে টিপু আলম বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য আসলে বিদেশি চ্যানেলগুলোর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। দর্শকদের মাঝে সারা বছর বিদেশী চ্যানেলপ্রীতির যে উন্মাদনা  দেখি, ঈদে কিন্তু তেমনটা দেখা যায় না। ঈদে তাদের সব আগ্রহ যেন আমাদের দেশীয় চ্যানেলকে ঘিরেই।

ঈদের মতো সারা বছরই যদি আমরা দর্শক চাহিদার কথা চিন্তা করে অনুষ্ঠান নির্মাণ করি তাহলেই কেবল দেশীয় চ্যানেলের প্রতি তাদের আগ্রহী করে তোলা সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস। এ ব্যাপারে সব চ্যানেলকেই উদ্যোগী হতে হবে। যে করেই হোক দর্শকদের ফিরিয়ে আনতে হবে, আমাদের চ্যানেলমুখী করতে হবে। আর যে কোনভাবে এটা করা গেলে আমাদের প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, দর্শকদের সেরা বিনোদনটা দিতে চেষ্টার কমতি নেই আমাদের, তাদের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারছি বলেই তারা বৈশাখী টিভির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। দর্শকদের ভালোবাসা নিয়ে এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই আমরা। আমাদের বিশ্বাস আমরা তা পারব। কারণ, বৈশাখী টিভিই একমাত্র চ্যানেল যারা এখন পর্যন্ত দেশীয় কৃষ্টি কালচার ছাড়া ভিনদেশী ডাবিংকৃত কোন সিরিয়াল প্রচার করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।

ঈদুল আযহার অনুষ্ঠান নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা সিনিয়র দক্ষ নির্মাতার পাশাপাশি নবীন মেধাবী নির্মাতাদেরকেও প্রাধান্য দিয়েছি। ৭ পর্বের ৩টি ধারাবাহিক ছিলো আদিবাসী মিজানের রচনা ও পরিচালনায় হাইপ্রেসার,  আকাশ রঞ্জনের রচনা ও পরিচালনায় ব্রেকফেল এবং অনিমেষ আইচের রচনা ও পরিচালনায় দাদার দেশের ডাক্তার।

৭টি একক নাটক ছাড়াও ৩টি ধারাবাহিকের মধ্যে আদিবাসী মিজানের হাইপ্রেসার আর আকাশ রঞ্জনের ব্রেকফেল নাটকের যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি তা সত্যি অবিশ্বাস্য।

তিনি আরো বলেন, এসব নাটকে অভিনয় করেন দেশের খ্যাতনামা সব তারকা শিল্পী। তাদের প্রাণবন্ত অভিনয় ছিল সত্যি মুগ্ধ করার মতো।

তিনি বলেন, ঈদের ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল প্রতিদিন সকাল ১১টায় প্রচারিত সোনালি দিনের স্বর্ণালি গান।  জনপ্রিয় শিল্পীদের  কণ্ঠে পুরনো দিনের এসব গান যেন অন্য এক মুগ্ধতা তৈরি করে। দর্শকও দারুণভাবে উপভোগ করেছে বলে আমার ধারণা। অসংখ্য দর্শকের কাছ থেকে এ অনুষ্ঠানটি পুনর্প্রচারের অনুরোধই তার প্রমাণ।  প্রশংসনীয় পারফর্ম করে এ অনুষ্ঠানের শিল্পীগণ।

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!