• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দলীয় ব্যানারে ফুল দিয়ে বিতর্কে জাবি উপ-উপাচার্য


রাহুল এম ইউসুফ জাবি ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮, ০৬:৫৩ পিএম
দলীয় ব্যানারে ফুল দিয়ে বিতর্কে জাবি উপ-উপাচার্য

জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্যের সঙ্গে প্রটোকল অনুযায়ী ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন বর্জন করে দলীয় ব্যানারে শ্রদ্ধা জানিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্রই চলছে বিরূপ গুঞ্জন ও সমালোচনা। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। কিন্তু সেখানে দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেন (শিক্ষা) ও অধ্যাপক আমির হোসেন (প্রশাসন) উপস্থিত থাকলেও তারা রাষ্ট্রীয় ব্যানারে শ্রদ্ধা জানাননি। এরপর দলীয় ব্যানারে উপস্থিত হল প্রভোস্টগণকে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।

এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি +৮৮০৪৪৪৫৬৫১৬৫৫ এই নম্বর থেকে মেসেজ দিয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের উপাচার্যের সঙ্গে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নিষেধ করে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র কার্যনির্বাহী কমিটি। যে কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক অপর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির হোসেন।

শিক্ষক সমাজের দলীয় নিষেধ থাকায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ উপাচার্যের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানানো থেকে বিরত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক উপাচার্য এ বিষয়ে সোনালীনিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় রীতি-নীতি হলো, উপাচার্য প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় তার সঙ্গে উপ-উপাচার্যদ্বয়, অনুষদসমূহের ডিন, হলসমূহের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, বিভিন্ন অফিসের প্রধানগণ উপস্থিত থাকবেন। এই দায়িত্বে থাকা কেউ যদি উপাচার্যের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে অস্বীকার করে তবে উপাচার্য তাকে শোকজ করার এখতিয়ার রাখেন।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদে বহাল থেকে কোনো রাজনৈতিক দলের দায়িত্বে থাকা যায় না বলেও জানান সাবেক এই উপাচার্য।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন আধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানানো বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতি কিন্তু তিনি (উপাচার্য) আমাকে দাওয়াত দেননি। তাই আমি তার সাথে শ্রদ্ধা জানাতে যাইনি। আর মেসেজের মাধ্যমে উপাচার্যের সঙ্গে ফুল দিতে নিষেধ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ছিল।’

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি ফুল দিয়েছিলাম তো’। আপনি কি উপাচার্যের সঙ্গে ফুল দিয়েছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি এই প্রতিবেদককে পরে দেখা করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতি-নীতি ভেঙে যদি কেহ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা না জানায় সেটি খুবই দুঃখজ্জনক। কিন্তু প্রশাসনিক পদে থাকা শিক্ষকদের রাষ্ট্রীয় ব্যানারে ফুল দিতে নিষেধ করা জঘন্য অপরাধ। আমন্ত্রণ না জানানো বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রটোকল অনুযায়ী তারা শহীদ মিনারে গিয়ে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর নিয়ম। তাছাড়া রেজিস্টারের মাধ্যমে সবাইকেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!