• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দাফনের ২ মাস ৭ দিন পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন


নোয়াখালী প্রতিনিধি জুলাই ১৩, ২০১৭, ১২:২৬ এএম
দাফনের ২ মাস ৭ দিন পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালী: জেলার সুবর্ণচরে নয়াপাড়া গ্রাম থেকে দাফনের ২মাস ৭দিন পর মনোয়ারা বেগম প্রকাশ মনি (৩০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।  বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরীন ফেরদৌসির উপস্থিতিতে মরদেহটি কবর থেকে তোলা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,চর আমান উল্লা ইউপির নয়াপাড়া গ্রামে যৌতুকের দাবীতে শ্বশুর আবুল খায়ের বলি  নিযাতনে গৃহবধু মনোয়ারা বেগম মনি মারা যায় এ অভিযোগ এনে মনির বড়ভাই আবুল কালাম প্রকাশ জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা একটি মমামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালতেন নিদের্শে ২মাস ৭ দিন পর আজ তিন সন্তানে জননী গৃহবধু মনির মরদেহ ময়না তদন্তের কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

মামলার সুত্রে জানাগেছে গত ৫ মে ২০১৭ ইং মনোয়ারা বেগম মনিকে শ্বশুর আবুল খায়ের মনির পিত্রালয় থেকে যৌতুক হিসাবে টাকার আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে শ্বশুর আবুল খায়ের। এতে মনি  রাজি না হওয়ায় তাকে নির্যাতন করা হয়।  এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে প্রথমে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।  তিনদিন পর তারা জানায় মনি আত্মহত্যা করেছে। কিন্ত ময়নাতদন্ত ছাড়াই শ্বশুর বাড়ির লোকজন রাতের বেলায় তড়িগড়ি করে গোপনে মরদেহ দাফন করে ফেলে।

পরে গোপন সংবাদে ভিত্তিতে মনির পিতার বাড়ির লোকজন যে মনির  মরদেহের গোসল দিয়েছে তার মাধ্যম জানতে পারেন মনির গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। এরপর আবুল কালমা প্রকাশ জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন।  যার প্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

এ ঘটনার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মামলার সঠিক তদন্তের স্বার্থে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!