• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলাদেশের অর্জন

দারিদ্র্য জয়ের পথে আরেক ধাপ অগ্রগতি


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৬, ২০১৬, ১১:০০ এএম
দারিদ্র্য জয়ের পথে আরেক ধাপ অগ্রগতি

কাঙ্খিত পথেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সামাজিক-অর্থনৈতিক নানা সূচকে একের পর এক উঠে আসছে তারই স্বীকৃতি। এ ধারায় সর্বশেষ সংযোজন দারিদ্র্য জয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্য। ২০০৫ সালেও যেখানে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল ৪৩.৩ শতাংশ, এ বছর সেই সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ১২.৯ শতাংশে। অথচ আগে দারিদ্র্যসীমা ধরা হতো দৈনিক ১ দশমিক ২৫ ডলারের কম আয়কে, গত বছর থেকে তা ধরা হচ্ছে ১ দশমিক ৯০ ডলার। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেছনে ফেলে এসেছে ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের মতো দেশকে। এই স্বীকৃতি এসেছে আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে, যে মূল্যায়ন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের কোনো অবকাশ নেই। বাংলাদেশের এমন অর্জনে জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ দারিদ্র্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষিত হয়েছে, তা অর্জন করা মোটেও কঠিন হবে না, সে কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। আর সেই স্বাধীনতার প্রধান কথাই ছিল চরম বৈষম্যের শিকার তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সে সময় পশ্চিম পাকিস্তানে দারিদ্র্য ছিল না বললেই চলে, আর এখানে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল ৬০ শতাংশের বেশি। শুধু অর্থবিত্ত নয়, শিক্ষায়, কর্মসংস্থানে কিংবা মর্যাদায়ও পাকিস্তানের এই অংশের মানুষ ছিল চরমভাবে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। ন্যক্কারজনকভাবে শোষণ করা হচ্ছিল এই অংশকে। এখন সেই পাকিস্তান আমাদের অনেক পেছনে হাঁটছে। অনেক সূচকেই তারা বাংলাদেশের পেছনে পড়ে গেছে এবং দৃশ্যত মনে হয় আরো পেছনে পড়তেই থাকবে। ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেন আজ কথা বলতে শুরু করেছে। স্বাধীনতা ক্রমেই তার অর্থ খুঁজে পাচ্ছে। 

বঙ্গবন্ধুর মুখে বহুল উচ্চারিত বিশ্বকবির ‘সোনার বাংলা’ অভিধা বাস্তব হতে চলেছে। আর এ ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করছে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব এবং দেশ পরিচালনায় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির কাঙ্খিত অংশগ্রহণ। সে কারণেই বঙ্গোপসাগরের বিশাল অংশজুড়ে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ছিটমহল ও স্থলসীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে, যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য এসেছে, পদ্মা সেতু দৃশ্যমানতা পেয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে রীতিমতো উল্লম্ফন ঘটেছে, কৃষি ও শিল্পোৎপাদন দ্রুত বাড়ছে। 
অন্যদিকে দারিদ্র্য দ্রুত পিছু হটছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয়-উপার্জন বেড়েছে, মানুষের মুখে হাসি ফুটছে। এ কথা আজ নির্দ্বিধায় বলা যায়, মাঝখানে একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য হোঁচট খেলেও দেশ আবার স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত পথ ধরেই এগিয়ে চলেছে। আমরা চাই, বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাক এবং অতিদারিদ্র্য, ক্ষুধা, অপুষ্টি চিরতরে নির্বাসিত হোক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!