• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দারিদ্র্যবিমোচনে বাংলাদেশের অগ্রগতি


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৫, ২০১৬, ০১:১৪ পিএম
দারিদ্র্যবিমোচনে বাংলাদেশের অগ্রগতি

গেল কয়েক বছরে দারিদ্র্যবিমোচনে, বিশেষ করে হত দারিদ্র্যবিমোচনে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। তবে আয়-রোজগারের দিক দিয়ে বহুমাত্রিক সূচকের সব ক'টিতে সমান অগ্রগতি না হওয়ায় তেমন সুফল মিলছে না দৈনন্দিন জীবনে।

এ অবস্থায়, স্থায়ীভাবে দারিদ্র্যবিমোচনে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের।

তিন দশক আগে জামালপুর থেকে ঢাকায় এসেছেন মাজেদা বেগম। এ সময়ের মধ্যে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। বদলায়নি শুধু তার জীবিকা নির্বাহের উপায়। কারওয়ান বাজারে সবজি কেনাবেচার ব্যবসা থেকে প্রতিদিনে তার লাভের টাকা যোগ হয় সংসারের নিত্য ব্যয়ে।

মধ্যম আয়ের দিকে যাওয়া বাংলাদেশে, জীবিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এসব মানুষের গল্প কোনো রূপকথা নয়।

তবে আশার কথা হলো, গেল কয়েকবছর ধরে উল্লেখযোগ্য হারে কমছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। যদিও প্রত্যাশা মতো পরিবর্তন আসছে না এসব মানুষের দৈনন্দিন জীবনে।

এর কারণ হিসেবে, এনজিওগুলো বলছে, দারিদ্র্যবিমোচনে সবগুলো সূচকে সমানতালে অগ্রগতি হচ্ছে না বাংলাদেশের। পাশাপাশি, শহরাঞ্চলে দরিদ্র মানুষের কাছে কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছে দিতে পারছে না সেবাদানকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

এদিকে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী হতদারিদ্র্য শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এসডিজি'তে তা অর্জন করতে হলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারের শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প হাতে নেয়ার পরামর্শ বিশ্বব্যাংকের।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের অবস্থান হত দারিদ্র্যসীমার নিচে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!