• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দার্জিলিং: জীবন বাঁচাতে থানার সামনে ১২ রোজাদার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ২০, ২০১৭, ০৮:৩০ পিএম
দার্জিলিং: জীবন বাঁচাতে থানার সামনে ১২ রোজাদার

ঢাকা: গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডাকা অর্নিদিষ্টকালের হরতালে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে। গত ১২ জুন থেকে ডাকা এই হরতাল এখন সহিংস রূপ নিয়েছে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫ জন নিহত ও একশত জনের বেশি আহত হয়েছেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা পাহাড় ছেড়ে চলে যাচেছন। কিন্তু দিল্লি থেকে আসা ভারতীয় মুসলিম নাগরিকদের একটি দল আটকে গিয়েছেন। তাদের খাবার রসদও ফুরিয়ে গিয়েছে গত চার দিন আগে। এখন জীবন বাঁচাতে পুলিশ কর্মকর্তার অফিসের সামনে মোনাজাত করেছেন দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।

পাহাড়ে আটকে পড়া মুসলিম দলের সদস্য মোহাম্মাদ কাশেম গণমাধ্যমকে জানান, প্রতি বছরই রামজানের সময়ে আমরা দেশ ঘুরতে বের হই। হালাল পর্যটনের বিকাশে আমরা কাজ করছি। কিন্তু এবার দার্জিলিংয়ের যে চিত্র দেখলাম, তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। কোনোদিন এরকম চিত্র দেখিনি।

তিনি আরো বলেন, গত চার দিন আগেই আমাদের খাবার পানি ও রসদ ফুরিয়ে গিয়েছে। কোনো মতে জীবন-যাপন করছি। রোজা রেখে ইফতারের সময়ও পানি পাচ্ছি না। আমরা এলাকা ছাড়তে চাই। কিন্তু পারছি না। তাই পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে আমাদের নিরাপদে কোথাও সরিয়ে নেয়া হয়। পরে আমরা দিল্লি ফিরে যাবো। তাই অফিসের সামনে এসে দীর্ঘ মোনাজাত করেছি।

আমরা একটি লিখিত আবেদনও করেছি পুলিশ কর্মকর্তার কাছে। কিন্তু এখনো কোনো উত্তর পাইনি। আমরা যদি খাবার সংগ্রহ করতে না পারি, তাহলে শিগগিরই মারা যাবো বলে উল্লেখ করেন তারা। এই ঘটনা গণমাধ্যমে আলোচিত হওয়ার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তাদেরকে শিলিগুরিতে স্থানান্তর করা হবে।

আলোচনায় রাজি নয় গোর্খা

অপরদিকে পাহাড়ে ডাকা হরতাল অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে গোর্খা মোর্চা। মোর্চা নেতৃত্বের আরো সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসন্ন টিএ নির্বাচন বয়কট করার৷ তারা জানান, অনির্দিষ্ট কালের জন্য তরতাল চলবে৷ ফলে দার্জিলিং পার্বত্যাঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

শান্তিপূর্ণ পথে পাহাড় সমস্যার সমাধানের পথ বের করতে মঙ্গলবার (২০ জুন) সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা৷ দার্জিলিংয়ের জিমখানা ক্লাবে বেলা একটায় বৈঠক শুরু হয়। মোর্চা ছাড়াও বৈঠকে ছিল জন আন্দোলন পার্টি, জিএনএলএফ, বিজেপি, কংগ্রেস, গোর্খা রাষ্ট্রীয় নির্মাণ মঞ্চ সহ কয়েকটি দল।সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি মোর্চার বিধায়ক-কাউন্সিলরদের বলেন, জিটিএর পদ আঁকড় কেন আন্দোলন করছেন? পদ ছেড়ে দিন৷ এদিন তৃণমূল ছাড়াও বামেরাও এই বৈঠকে যোগ দেয়নি৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি আন্দোলনকারীরা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!