• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দায়িত্ব নিতে হবে সাকিব-মাহমুদুল্লাহকে


ক্রীড়া প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭, ০৬:৩৭ পিএম
দায়িত্ব নিতে হবে সাকিব-মাহমুদুল্লাহকে

ঢাকা: ১৭ বছর পর ভারতে টেস্ট খেলা বাংলাদেশের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। হারানোর কিছু নেই। এই টেস্ট মুশফিকুর রহীমের দল হেরে গেলেও জাত মান কিছু যাবে না! এই তো কিছুদিন আগেই এখানে দিশা পায়নি ইংল্যান্ড। পাঁচ টেস্টের সিরিজে তারা কোনমতে একটি টেস্ট ড্র করতে পেরেছে। চারটিতে হেরেছে। তারও আগে নিউজিল্যান্ড তিন টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ হায়দরাবাদে এখনও পর্যন্ত যা খেলেছে তাতে অনেক কিছুই ইতিবাচক হিসেবে নেওয়া যায়।

চতুর্থ দিনটা টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারাতে না হলে দুর্দান্ত একটা দিনই হত বাংলাদেশের জন্য। হায়দরাবাদ টেস্ট বাংলাদেশ জিতবে এমন আশা না করাই ভালো। এটা করতে হলে মুশফিকদের বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে। সেদিকে না হেঁটে বরং মুশফিকরা টেস্ট ড্রয়ের লক্ষ্যেই খেলবে। যদি এটা সম্ভব হয় তাহলে বাংলাদেশ জিতেছে বলেই ধরে নেওয়া যাবে!

সাম্প্রতিককালে ভারত কোন মানের ক্রিকেট খেলছে সেটা সবার জানা। আর এটা যদি হয় তাদের ঘরের মাঠ তাহলে তো কথাই নেই। বাংলাদেশ কি পারবে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সারাদিন ব্যাট করে ম্যাচটি বাঁচাতে? এটা নির্ভর করছে ব্যাটসম্যানরা কিভাবে ভারতীয় স্পিনারদের সামলায় তার ওপর। চতুর্থ দিনেই অশ্বিন-জাদেজারা বল ঘুরিয়ে যেভাবে ফায়দা তুলে নিচ্ছে তাতে পঞ্চম দিনে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের নাভিঃশ্বাস তুলে ছাড়বেন এটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার হয় না।

শেষ কয়েকটি সিরিজ ভারত জিতেছে অশ্বিন-জাদেজাদের ওপর ভর করে। পঞ্চম দিনে কোহলি এই দুজনের ওপরই আস্থা রাখবেন। বাংলাদেশের ভরসার প্রতিক হয়ে এখনও ক্রিজে রয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ। নিউজিল্যান্ডে শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজে রান পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পার্শ্বনায়ক বলে পরিচিত মাহমুদুল্লাহ। হায়দরাবাদেও তার ব্যাটে বড় ইনিংসের দেখা মেলেনি। এই তো সুযোগ মাহমুদুল্লাহর সামনে শ্রীলংকা সফরের আগে আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ করার। তিনি কি পারবেন নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে? তাহলে যে বাংলাদেশেরও লাভ!

সাকিব আল হাসান বরাবর তার মত খেলতেই অভ্যস্ত। ওয়েলিংটনে দেশসেরা ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে। তবে সেট হয়ে সাকিবের আউট হওয়ার ধরণ পাল্টাচ্ছে না। নিউজিল্যান্ড সিরিজেও দেখা গেছে, হায়দরাবাদেও তিনি প্রথম ইনিংসে ৮২ রান করে দৃষ্টিকটু ভাবে আউট হয়েছেন। তা না হলে সেঞ্চুরি করতে পারতেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব অপরাজিত আছেন ২১ রান। বল খেলেছেন ৪২টি। যদিও পঞ্চম দিন আবার নতুন করেই শুরু করতে হবে। সাকিব কিন্তু ফর্মে আছেন। তাই মাহমুদুল্লাহর চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই তার আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি রয়েছে। সাকিব যদি দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশকে টানতে থাকেন তাহলে ড্র করার যে ভাবনা তা অসম্ভব কিছু হবে  না।

মাহমুদুল্লাহও এরই মধ্যে ২৯ বল খেলে ফেলেছেন। তার মানে একটা বিশ্বাস নিজের মধ্যে জন্মেছে। মাহমুদুল্লাহও সতর্ক হয়ে অন্তত প্রথম সেশনটা যদি পার করে দিয়ে আসেন। তাহলে পরে যারা আছেন তাদের পক্ষে ড্র করার কাজটি আরও সহজ হয়ে যায়। মুশফিকুর প্রথম ইনিংসে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে আরও বড় দায়িত্ব নিতে হবে। রান না পাওয়া সাব্বিরকে লম্বা ইনিংস খেলতেই হবে। মিরাজকে আরও চোয়ালবদ্ধ হতে হবে। লোয়ার মিডল অর্ডারকেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে যেন তাদের উইকেট নিতে অশ্বিন-জাদেজাদের কষ্ট করতে হয়। এসব সম্ভব হলে হায়দরাবাদ টেস্ট্র ড্র করা নিশ্চয় সম্ভব!

সোনালীনিউজ/ঢাক/জেডআই/আরআইবি

Wordbridge School
Link copied!