• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দিনমজুরকে ডাকাত সাজানোর অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৯, ২০১৭, ০৯:৪৩ পিএম
দিনমজুরকে ডাকাত সাজানোর অভিযোগ

ঢাকা: থানার ভারপ্রাপ্ত(ওসি) কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভাবিকে ধর্ষণের করার অভিযোগে মামলা করা আছে। এখন আমাদের হয়রানি করতে ১২ জন দিনমজুরকে ডাকাত বলে কোর্টে চালান দিয়েছে। চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানার ওসিকে সরিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আনোয়ার হোসেন।

শনিবার(১৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন(ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। আনোয়ার বলেন, বাড়িতে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি মিথ্যা মামলায় জেলে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা ভেঙ্গে পড়ছে, অনাহারে দিন কাটছে সকল সদস্যরা। অন্যদিকে, বর্তমানে এলকায় এটি আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে আমার বাড়িতে কাজ করতে আসা ১২ দিনমজুরকে ডাকাত সাজিয়ে পুলিশ দুটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারপরে তদের কোর্টে চালান দিয়েছে। 

লিখিত বক্তেব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ১০ আগস্ট ১২ জন দিনমজুরকে জমিতে ধান লাগনোর জন্য বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাতেই লোহাগাড়া থানার ওসির নির্দেশে ১৫/২০ জন পুলিশ বাড়িতে আসেন। স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় সবাইকে আটক করে পুলিশ। পুলিশকে তখন সতাহয়তা করে জুনায়েদ চেয়ারম্যান, আলম মেম্বার, আজিজ মেম্বার, স্বপন চৌকিদার ও হেলাল প্রমুখ। 

পরে তাদেরকে বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে মারধর করা হয়। দ্বিতীয় দফায় থানায় নিয়েও মারধর করে স্বীকারোক্তি নেয় যে, তারা ডাকাতি করার জন্য ওই বাড়িতে আসছে। পরের দিন তার ভাই হারুন ও দেলোয়ারসহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানার এসআই মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে দুটি মিথ্যা মামলা করে ১২ দিনজুরকে কোর্টে চালান করে দেয়।

তিনি বলেন, ২ মাস আগে লোহাগাড়া থানার ওসি মো: শাহজাহান ও কয়েকজন এসআইয়ের বিরুদ্ধে আমার ভাবিকে ধর্ষণ চেষ্টা ও আমাকে থানায় নিয়ে মারধরের অভিযোগে কোর্টে দুটি মামলা করি। বিষয়টি নিয়ে গত ৩ জুন ক্র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনও করছিলাম। এর একটি মামলায় গত ১৯ জুন ৫(১) ধারা অনুযায়ী নিয়মিত মামলা নেয়ার জন্য আদালত চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করেন।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশ সুপার কোন আইনগত ব্যবস্থা নেননি। এসব ঘটনা প্রেক্ষিতে লোহাগাড়া থানার ওসি আমাদের পুরো পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত। আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিবারের সঙ্গে পূর্ব শক্রতার জেরে ওসি শাহজাহান আমার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য জমি নিয়ে বিরোধ আছে স্থানীয় এমন কয়েকজন ব্যক্তিকে ব্যবহার করছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। 

এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মুহাম্মদ ইউনুছ আলী আকন্দসহ দিনমজুর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!