• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে চা চাষ অপার সম্ভাবনার


রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর নভেম্বর ২৫, ২০১৬, ১০:৫৭ এএম
দিনাজপুরে চা চাষ অপার সম্ভাবনার

দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পলাশবাড়ীর চা বাগানে চাষী নজরুল ইসলাম

দিনাজপুর: উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়, ঠাকুরগাওয়ের পর নীলফামারীতে চা-চাষের সাফল্যের পর এবার দিনাজপুরে শুরু হয়েছে চা চাষ। আর দিনাজপুরে এ চা চাষের সাফল্যে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক অপার সম্ভাবনার। এ কারণে উত্তরের জেলাগুলোতে চা চাষ অর্থনৈতিকভাবে বিপ্লব ঘটাঁতে পারে।

হিমালয়ের পাদদেশে দিনাজপুরের অবস্থান হওয়ায় ভৌগলিক কারণে এ এলাকার চা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

চা অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান রেখে চলেছে। পাশাপাশি চা চাষের পরিধিও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাহাড়ী অঞ্চলের পর সমতলেও বৃদ্ধি পাচ্ছে চা চাষ। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, নীলফামারীর পর এবার দিনাজপুরে চা চাষের সাফল্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখবে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পলাশবাড়ীর চা বাগান

দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পলাশবাড়ী ইউপির ঝলঝলি গ্রামের নজরুল ইসলামের এক একর জমিতে এবং পাল্টাপুর ইউপির পাল্টাপুর গ্রামের আশ্রায়ন কেন্দ্র এলাকায় এক একর জমিতে এ চা চাষ শুরু হয়েছে। চায়ের চারা রোপনের পর পরিচর্যা ছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই বলে জানান তারা।

নজরুল ইসলাম তার জমি প্রস্তুত করে চারা রোপনে খরচ করেছে ৬০ হাজার টাকা। অথচ গত বছরের আগস্টে চারা রোপন করে এরই মধ্যে ৪ বার চা পাতা তুলে ২৫/২৬ টাকা কেজি দরে প্রায় ২৪ হাজার টাকার চা পাতা বিক্রি করেছেন তিনি। গাছের বয়স দুই বছর হওয়ারপর প্রতি মাসে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকার চা পাতা বিক্রি করা যাবে বলে তিনি জানান। পরিচর্যা ছাড়া তেমন খরচ নেই বললেই চলে।

কথা হয় পলাশবাড়ী ঝলঝলি বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম সঙ্গে। তিনি জানান, পঞ্চগড়ের সাকোয়ার চা চারা বিক্রিকারী নার্সারীর শরিফের পরামর্শে এবং চা বাগান করার নিজ আগ্রহে এ চা চাষ শুরু করি। পলাশবাড়ী ঝলঝলি বহুমুখী সমবায় সমিতির সহযোগিতায় গত বছরের আগস্টে চা চারা রোপন করি। এরই মধ্যে চার বার চা পাতা সংগ্রহ করে পঞ্চগড় নর্থ বেঙ্গল চা কারখানায় বিক্রি করেছি। গাছের বয়স বাড়বে সাথে চা পাতা সংগ্রহের পরিমানও বাড়বে। যা প্রতি মাসেই বিক্রি করা যাবে। গাছের বয়স দুই বছর হওয়ার পর প্রতি মাসে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকার চা পাতা বিক্রি করা যাবে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পলাশবাড়ীর চা বাগান

নজরুল ইসলাম জানান, চা চাষের উপযোগী এ মাটিতে চা গাছের গোড়ায় পানি না জমে এজন্য জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচণ্ড রোদে ছায়া দিতে চা গাছের মাঝে মাঝে নিম গাছ লাগিয়েছি। খড়ার সময় পাইপের সাহায্যে পানি ছিটিয়ে দিতে হয় গাছে। বছরে দুই বার সার ব্যবহার করলেই চলে। আমি জৈব সার বেশি ব্যবহার করি।

বীরগঞ্জ কৃষি অফিসের উপসহকারী মো. শাহজাহান আলী জানান, হিমালয়ের পাদদেশে দিনাজপুরের অবস্থান হওয়ায় এ এলাকার চা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া উপযুক্ত থাকায় এ উপজেলায় চা ভাল উৎপাদন হওয়া সম্ভব। চা গাছে নিবির পরিচর্যা, পরিমিত পানি সেচ, যত্নবান হতে হবে। এ অঞ্চলে দুইজন চা চাষে এগিয়ে এসেছে। এটা লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এর চাষ বৃদ্ধি পাবে। চা চাষীকে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!