• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর মরদেহ পেলেন স্বজনরা


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৯, ২০১৮, ০৬:০১ পিএম
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর মরদেহ পেলেন স্বজনরা

ঢাকা: সপ্তাহ খানেক আগেই আপনজনের মৃত্যুর সংবাদ জেনেছেন। কিন্তু, মরদেহ দেখারও সুযোগ হয়নি, জড়িয়ে ধরে কাঁদার ‍সুযোগতো দূরের কথা। যখন আপনজনের নিথর দেহটি পেলেন, তখন বোধহয় চোখের পানি শুকিয়ে গেছে!

গত ১২ মার্চ (সোমবার) নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেমাবার (১৯ মার্চ) বিকেল পাঁচটার পর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে হস্তান্তরের কাজ শুরু হয়। হস্তান্তরের কাজে নিয়োজিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ওবায়দুল কাদের এবং স্পিকার শ্রদ্ধা জানান। 

এর আগে, সোমবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে মরদেহগুলো নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর ভিভিআইপি টারমাকে অবতরণ করে মরদেহবাহী ৬১-২৬৪০ নম্বর বিমানটি। এর পর ২৩ জনের মরদেহের কফিন ১৯টি মরদেহবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বিকেল ৫টায় আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছায়।

যাদের মরদেহ হস্তান্তর হয়েছে- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।

এখনো তিন বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত হয়নি। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। ডিএনএ পরীক্ষার পর তাদের মরদেহ শনাক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। তাদের মরদেহ শনাক্তের পর দেশে আনা হবে।

গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১০ বাংলাদেশি আহত হন। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!