• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঐতিহাসিক সফরে পিয়ংইয়ংয়ে গেল সিউল

‘দুই কোরিয়া এক ভূমিতে পরিণত হোক’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮, ০৭:৩২ পিএম
‘দুই কোরিয়া এক ভূমিতে পরিণত হোক’

ঢাকা : উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং গেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। উত্তরের সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা করতে দু’দিনের এ সফরে যান তিনি।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা নাগাদ মুন পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান কিম, তার স্ত্রী রি সোল জু ও উত্তর কোরিয়ার অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ সময় হাসিমুখে মুনকে জড়িয়ে ধরেন কিম। দুই নেতার গাড়িবহর লক্ষ্য করে কয়েকশ’ উত্তর কোরীয় নাগরিক কোরীয় উপদ্বীপ এক হওয়ার বিষয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। স্বাগতম! ‘দুই কোরিয়া এক ভূমিতে পরিণত হোক’ স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা।

বিবিসি জানায়, জড়িয়ে ধরার মুহূর্তে ও একে অপরের সঙ্গে কথা বলার সময়ও দুই প্রেসিডেন্টের মুখে হাসি ছিল।

বিমানবন্দরে স্যুট ও ঐতিহ্যবাহী কোরীয় পোশাক পরা উত্তর কোরিয়ার কয়েকশ’ নারী-পুরুষ কোরীয় উপদ্বীপ ও উত্তর কোরিয়ার পতাকা নেড়ে, ফুল হাতে মুনকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে ‘পিয়ংইয়ং সফরে সুস্বাগতম প্রেসিডেন্ট মুন’ লেখা ব্যানারও শোভা পাচ্ছিল।

দুপুরের খাবারের পর দু’নেতা আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন। এ নিয়ে চলতি বছর কিম-মুনের মধ্যে তৃতীয় শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। মুনের সফরসঙ্গী হিসেবে কয়েকজন কর্পোরেট কর্মকর্তাও রয়েছেন।

তাদের মধ্যে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের ভাইস চেয়ারম্যান জে ওয়াই লি ও এলজি গ্রুপের প্রধানরা রয়েছেন। উত্তেজনা কমানো ও সশস্ত্র সংঘাত এড়াতে সামরিক চুক্তির পাশাপাশি বুধবার কিম ও মুন একটি যৌথ বিবৃতি দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মুনের উত্তর কোরিয়া ছাড়ার কথা রয়েছে।

এবারের শীর্ষ সম্মেলনকে কিম ও ট্রাম্পের মধ্যে সম্ভাব্য নতুন বৈঠকের ‘লিটমাস টেস্ট’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। জুনে সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছিলেন কিম।

বৈঠকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে বিষয়ে তিনি আন্তরিক কিনা, মুনের সঙ্গে বৈঠকে তার আঁচ পাওয়া যাবে বলেও ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার আগে ওয়াশিংটন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে পিয়ংইয়ংয়ের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ দেখতে চায়। কোরীয় যুদ্ধে মুনের পরিবারও বিচ্ছিন্ন হয়েছিল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!