ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার সরাইলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে দুই ঘন্টা বন্ধ থাকার পর যান চলাচল শুরু হয়েছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টা থেকে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপুর পৌনে ১টার দিকে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ দুই ঘন্টা চেষ্টার পর মহাসড়কে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল চালু করে। তবে মহাসড়কে সংঘর্ষ বন্ধ করা গেলেও কুট্টাপাড়া ও খাঁটিহাতা গ্রামে এখনো থেকে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে লোকাল বাসের ভাড়া কম-বেশি নেয়াকে কেন্দ্র করে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের কালু মিয়ার সঙ্গে পাশ্ববর্তী খাঁটিহাতা গ্রামের দুখু মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে খাঁটিহাতা ও কুট্টাপাড়া গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ওঠে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের কারণে মহাসড়কের দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল পৌনে ১১ টায় আবারো ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে মহাসড়কের দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর পৌনে ১টার দিকে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ দুই ঘন্টা চেষ্টার পর মহাসড়কে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল চালু করে। তবে মহাসড়কে সংঘর্ষ বন্ধ করা গেলেও কুট্টাপাড়া ও খাঁটিহাতা গ্রামে এখনো থেকে থেমে সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকসহ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, সকাল থেকেই মহাসড়কে সংঘর্ষ চলার কারণে রাস্তার দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর পৌনে ১টার দিকে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ দুই ঘন্টা চেষ্টার পর মহাসড়কে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

দেড় ঘন্টা পরে চালু ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন