• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুই বাংলার উদ্যোগে যশোরে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা


যশোর প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭, ০৮:১৫ পিএম
দুই বাংলার উদ্যোগে যশোরে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা

দুই বাংলার পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়

যশোর: আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশের সৌহার্দ্য সম্প্রীতি  মৈত্রীর মেলবন্ধন সংহতি ২০১৭ শুরু হয়েছে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্ত্বর থেকে। শেষ হবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজে এসে পৌঁছায় সংহতি বহরটি।

এদিন সকালে এমএম কলেজে ক্যাম্পাসে যশোরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুই বাংলার পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর ক্যাম্পাসে মশাল প্রজ্জ্বলন করা হয়।

মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয় শোভাযাত্রা। বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে মধু মঞ্চে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ শফিউল ইসলাম সরদার, এমএম কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এআইএম শরীফ হোসেন, সংহতি ২০১৭ আহবায়ক দীপন দাস ও কলকাতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি পল লিয়ান গোমেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র আরিফ আহমেদ ও বাংলা বিভাগের ছাত্র কামরুল ইসলাম দুর্জয়।

ভারতের কলকতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজের প্রাক্তনী সংগঠন ও বঙ্গ সাহিত্য সমিতির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়েছে।

সংহতি ২০১৭ আহ্বায়ক ও কলকাতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজের প্রাক্তন ছাত্র দীপন দাস জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ২০১৫ সাল থেকে ভারতের কলকতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজের প্রাক্তনী সংগঠন ও বঙ্গ সাহিত্য সমিতির উদ্যোগে সংহতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভাষা শহীদদের  প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ও দুই বাংলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি প্রসারে এ আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মশাল উজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে সংহতি উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ১৩ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরকারি এমএম কলেজে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বহরটি ভারতে প্রবেশ করবে। এরপর আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়াস কলেজে সংহতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহর পৌঁছবে। ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা সেন্ট জেভিয়াস কলেজে বাৎসরিক জ্যাভউল্লাস আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায় অবস্থিত ডেপুটি হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে মশাল নিয়ে সেন্ট জেভিয়াস কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে।

এ আয়োজনে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ থেকে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি সংহতি ২০১৭ অংশ নিচ্ছে। বহরে তারা দুইজন রয়েছেন। আরও ৬জন পরবর্তীতে অংশ নেবেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!