• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ১৪, ২০১৭, ১০:১১ এএম
দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

ঢাকা : তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা একটি মামলার আসামির জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ না করায় মাগুরার জেলা ও দায়রা জজের কাছে  ব্যাখ্যা তলব করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে একই জামিন আবেদন এখতিয়ার-বহির্ভূতভাবে শুনানি করায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারকের কাছেও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আগামী ২২ মার্চের মধ্যে তাদেরকে লিখিতভাবে হাইকোর্টে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) সাইবার ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে ওই আসামির করা আপিল গ্রহণ করে বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিমুল এহসান জুবায়ের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্টকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার মোহাম্মপুর থানার আহমেদ সবুজ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়।

এই মামলায় মাগুরার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

পরে মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন আহমেদ সবুজ। কিন্তু দায়রা জজ আদালত একই বছরের ১৭ নভেম্বর এই মামলার শুনানিতে অস্বীকৃতি জানান।

এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করলে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আহমেদ সবুজের আইনজীবী। হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আজ উপরোক্ত আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির বলেন, আইন অনুযায়ী যেকোনো মামলার বিচার আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের যেকোনো আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালত শুনানি গ্রহণ করবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ ওই জামিন আবেদন শুনানিতে মৌখিকভাবে অস্বীকৃতি জানান। অপরদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের যেকোনো মামলা আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত সাইবার ট্রাইব্যুনাল শুনানি করতে পারেন না। কিন্তু এই মামলা আমলে নেওয়ার আগেই সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানি করেছেন। এসব বিষয়ে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!