• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
না. গঞ্জে সাত খুন

দুই মামলায় নূর হোসেন ও আরিফের জরিমানা স্থগিত


আদালত প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭, ০২:১০ পিএম
দুই মামলায় নূর হোসেন ও আরিফের জরিমানা স্থগিত

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি নুর হোসেন ও মেজর আরিফের করা আপিল গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের করা দুই মামলায় ১ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিত করেছেন আদালত। আপিল নিষ্পতি না হওয়া পর্যন্ত জরিমানা স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ নুরহোসেন ও আরিফের আপিল গ্রহণ করেছেন। আদালত তার আদেশে বলেছেন এ মামলার ডেথ রেফারেন্সের সঙ্গে আপিলের শুনানি করতে হবে।

নুর হোসেন সাতখুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন, লাশ গুম করেননি। এ হত্যাকাণ্ডের যড়যন্ত্রও করেননি নুর। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবাবনবন্ধি দেন তার আসামি। এরকম ২৬টি আইনি যুক্তি দেখিয়ে নুর হোসেন আপিল করেছেন বলে জানান তার আইনজীবী লুৎফর রহমান।

আইনজীবী লুৎফর রহমান বলেন, এ মামলার পেপারবুকসহ আনুসঙ্গিক কাজ শেষ হলে আপিল শুনানি হবে।  

গত সোমবার দুপুরে সাত খুন মামলায় ফাঁসির সাজা থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন আপিল করেন নূর ও আরিফ।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। সাধারণ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। পরে প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশনা দেন।

গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনই র‌্যাবের সাবেক সদস্য।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া র‌্যাব-১১-এর সাবেক সদস্যরা হলেন- চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকিরা হলেন সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তাঁর সহযোগী মিজানুর।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!