• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুদক নয়, প্রতারণার মামলা তদন্তে পুলিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৯, ২০১৬, ০১:৫৪ পিএম
দুদক নয়, প্রতারণার মামলা তদন্তে পুলিশ

প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলার তদন্তভার দুদকের হাত থেকে পুলিশের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সংসদে এ সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৬ পাসের প্রস্তাব করেন সংসদ কাজে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। গত ২২ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলেন তিনি। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। এর আগে বিলের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও ফখরুল ইমামের দেওয়া দুটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। এছাড়া জাতীয় পার্টির সদস্যদের অন্যান্য সংশোধনীগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।

বিলটি পাস হওয়ায় সরকারি সম্পত্তি সম্পর্কিত এবং সরকারি ও ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত প্রতারণা বা জালিয়াতি মামলা ছাড়া অন্যান্য প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার দায়িত্ব পুলিশ পাবে। তবে সরকারি সম্পত্তি এবং সরকারি ও ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলার ভার দুদকের হাতেই রাখার বিধান রাখা হয়েছে। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ ও অপরাধজনিত বিশ্বাসভঙ্গের মতো বিষয়গুলো দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের তালিকায় ছিল।

২০০৯ সালে মুদ্রা পাচারের অভিযোগও দুদকের তফসিলে যুক্ত হয়। আর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এক সংশোধনীতে ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৬৯ ও ৪৭১ ধারার অপরাধ তদন্তের দায়িত্বও দুদকের ওপর বর্তায়। এই ধারাগুলোর মধ্যে প্রতারণার অভিযোগ ৪২০ ধারার অন্তর্ভুক্ত। অন্যগুলো ব্যক্তিগত অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার ধারা।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত এসব ধারার মামলাগুলোর তদন্ত করত পুলিশ; বিচার চলত হাকিম আদালতে। কিন্তু ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধগুলোর বিচারের এখতিয়ার জেলা জজ আদালতের হাতে চলে যায়। আর জজ আদালতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এসব মামলার বিচারকাজে তৈরি হয় দীর্ঘসূত্রতা। আইন সংশোধনের পর পুলিশ স্বাভাবিকভাবেই ৪২০ ধারার মামলা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এখতিয়ার না থাকার কথা বলে অভিযোগকারীদের দুদকে যাওয়ার পরামর্শ দিতে থাকে তারা।

সোনালীনিউজ/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!