• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতিতে লোকসান বাড়ছে সরকারি পাটকলগুলোর


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৯, ২০১৬, ১১:৫০ এএম
দুর্নীতিতে লোকসান বাড়ছে সরকারি পাটকলগুলোর

অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর শেখ হাসিনার সরকার বন্ধ সরকারি পাটগুলো পুনঃচালু করলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, সংস্কার কিংবা আধুনিকায়নে গুরুত্ব না দেয়ার ফলে এ থেকে আশানুরূপ উৎপাদন হচ্ছে না। এতে দিন দিন বাড়ছে এসব পাটকলের লোকসানের বোঝা।

বিজেএমসি বলছে, সঠিক সময়ে অর্থের যোগান না পাওয়ায় বদলাচ্ছে না দৃশ্যপট, যদিও সরকার মনে করে, দুরবস্থার মুল কারণ রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির লাগামহীন দুর্নীতি।

বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণে থাকা ২৬টি পাটকলের একটি দৌলতপুর জুট মিল, ১০ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালে যেটি পুনরায় চালু করে সরকার। ৫০ টন পাট পণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও দৈনিক ৯ টনের মতো পাট পণ্যের যোগান দিচ্ছে মিলটি। যার পেছনে প্রধান কারণ, মিলটির দুটি সেকশনের শ'পাঁচেক মেশিনের মধ্যে চালু রয়েছে মাত্র অর্ধেক। বাকিগুলোর কোনটি একেবারেই অকেজো, আবার কোনটি অর্থের অভাবে করা হচ্ছে না মেরামত। কেবল নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনের অভাবেই প্রতি ইউনিট সুতা, বস্তা তৈরির খরচ কখনো কখনো হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ। ফলে লোকসানের চক্র থেকে বের হতে পারছে না পটশিল্প।

তবে রাতারাতি এ অবস্থার পরিবর্তন অসম্ভব উল্লেখ করে বিজেএমসি এ খাতে সময়মতো অর্থায়ন নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে। যদিও সরকারি পাটকলগুলোর অব্যাহত লোকসানের পেছনে বিজেএমসির দুর্নীতিকেই দুষছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে দৈনিক ৮৮০ টন পাট পণ্য উৎপাদন করছে বিজেএমসি, অথচ শুধুমাত্র আধুনিক যন্ত্রপাতি সহযোজন করা গেলে যা পৌঁছাতে পারে এক হাজার টনে।

সরকারি এই পাটকলটি ২৫০টি সাইকিন মেশিনের মধ্যে চালু রয়েছে মাত্র ৮০টি প্রায় একই অবস্থা বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্য মিলগুলোরও। এত উৎপাদন না বাড়লেও ঠিকই দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের মজুরি। সুতরাং অর্থের অপচয় বন্ধ করতে শীঘ্রই আধুনিক যন্ত্রপাতি সহযোজনের উদ্যোগ জরুরি। পাট পুনর্জাগরণে অন্তত এর কোনো বিকল্প নেই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!