• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘দুর্নীতিবাজরা নির্লজ্জ, বেহায়া ও সাহসী’


বিশেষ প্রতিনিধি নভেম্বর ২১, ২০১৬, ০৬:১০ পিএম
‘দুর্নীতিবাজরা নির্লজ্জ, বেহায়া ও সাহসী’

ঢাকা: ‘জাতির সবচেয়ে বড় হতাশার নাম দুর্নীতি। যারা দুর্নীতি করে তারা বেহায়া, নির্লজ্জ ও সাহসী। দুর্নীতি আসলে ডাকাতি। এটা লুণ্ঠন। এটি ছোট-বড়দের মধ্যে বৈষম্যে সৃষ্টি করে। দুর্নীতিবাজরা ডাকাতের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। এদের রুখতে হবে। ওদের প্রতিরোধ করতে ডাকাতের মতো হতে হবে। নইলে প্রতিরোধ করা কঠিন হবে।’

সোমবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এমন মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এছাড়াও আলোচনা অনুষ্ঠানে কমিশনার (অনুসন্ধান) নাসিরউদ্দিন আহমেদ, কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামালসহ দুদকের মহাপরিচালকরা বক্তব্য দেন।

অধ্যাপক আবু সায়ীদ বলেন, রাজধানীর যানজট যেমন এ শহরকে দুঃসহ করে তুলছে। তেমনি দুর্নীতি হলো জাতির দুঃখ। এটা এতটাই বেড়েছে যে বাংলাদেশ বারে বারে পৃথিবীর দুর্নীতিগ্রস্ত জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে বলবো না, তবে উত্তরণের চেষ্টা চলছে।

দুর্নীতি আমাদের মেরুদণ্ডকে ভেঙে দিয়েছে- উল্লেখ করে অধ্যাপক সায়ীদ বলেন, প্রতিটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এক সময় শক্তিমানরা যেমন দুর্বলকে শোষণ করতো, এখন দুর্বলরাও শক্তিমানদের শোষণ করে। দুর্নীতি আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। দুর্নীতি এমনভাবে জড়িয়ে গেছে তা থেকে নিস্তার পাওয়া কঠিন। এটা যুদ্ধের বিষয়। সেই যুদ্ধে সবার অংশগ্রহণ করতে হবে। এটা যদি সত্যি সত্যি শুরু করা যায় তাহলে দুর্নীতি পিছু হটতে শুরু করবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরে মানুষের মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় হতে দেখা যায়। তখনকার সময় দাতাদের দেয়া সাহায্যও লুটপাট হতো। বঙ্গবন্ধু এ কারণে বলেছিলেন, ‘চাটার দল সব চেটেপুটে খেয়ে ফেলেছে।’ এর পরবর্তী সময় রাজনীতি দুর্নীতিপরায়ণ হয়। ১৯৯১ সাল থেকে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসন চলছে।

তিনি বলেন, এখন রাজনীতিবিদরা মনে করেন সরকার গঠন করতে পারলে সর্ব ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যাবে আর বিরোধী দলে গেলে নিশ্চিহ্ন হতে হবে। বর্তমানে সংসদের ৬৯ শতাংশ সাংসদ ব্যবসায়ী। তারা রাষ্ট্রকে নিয়ে ব্যবসা করছে। আর দেশের মানুষকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!