• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদন

দুর্বল নেতৃত্বে বিএনপি, জনসমর্থনে এগিয়ে আ.লীগ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৪, ২০১৮, ০৩:২২ পিএম
দুর্বল নেতৃত্বে বিএনপি, জনসমর্থনে এগিয়ে আ.লীগ

ঢাকা : বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সময় জনসমর্থনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকবে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিএমআই রিসার্চ। দুই শর বেশি দেশে রাজনৈতিক ঝুঁকি নিরূপণে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিএমআইয়ের মতে, বিএনপি নেতাকর্মীরা গত কয়েক মাস ধরে অনশন, মানববন্ধনসহ যেসব রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন, তাতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।

শুক্রবার (১৩ জুলাই) প্রকাশিত বিএমআই রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ বছরের সাজায় কারাগারে যাওয়ার পর দলটির শক্তি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ফলে ‘দুর্বল নেতৃত্বের’ বিএনপি ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পেরে উঠবে না বলে ধারণা বিএমআই বিশ্লেষকদের।

গবেষণা সংস্থাটির মতে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে। এছাড়া দেশে অনেক নেতা গ্রেফতার থাকায় ‘শক্তিশালী’ নেতার সঙ্কটে পড়েছে দলটি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অবস্থা এর বিপরীত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, টানা দুই মেয়াদে তিনি সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

শুধু তাই নয়, গত মে ও জুন মাসে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বড় জয়ের মধ্যেও বিএনপির সমর্থন কমার আভাস দেখতে পাচ্ছে বিএমআই রিসার্চ। সংস্থাটির স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের স্কোর এবার এক শর ভেতরে ৫৮১। তবে নির্বাচন ঘিরে আগের মতো সহিংসতার আশঙ্কা নাকচ করে দিচ্ছে না বিএমআই রিসার্চ।

এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট করার দাবি জানিয়ে আসা বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে তাদের নির্দলীয় সরকারের দাবি বরাবরই নাকচ করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে ২০১৪ সালের মতো এবারো বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আশঙ্কা থাকছেই। তাই নির্বাচনের আগে-পরে তাদের সহিংস আন্দোলনের আশঙ্কাও আমরা নাকচ করতে পারছি না।

বিএনপির বর্জনের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে ওই নির্বাচনে জয় পেয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের টানা তিন মাসের অবরোধ-হরতালে শতাধিক মানুষের প্রাণ যায়।

বিএমআই রিসার্চের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে, রাজনৈতিক বাস্তবতার পাশাপাশি ভোটের বছরের বাজেটে গ্রামের কৃষিজীবী মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য দেওয়া সুবিধাগুলোর সুফলও আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পাবে।

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ক্ষমতাসীন সরকার ভর্তুকি, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ২৭৯, ২৪৮ ও ৮৯ শতাংশ বাড়িয়েছে। এটা ভোটারদের সমর্থন আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে গবেষণা সংস্থাটি মনে করছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!