• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন

দুষলেন বীর বাহাদুরকে, দিলেন হুঁশিয়ারি


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২, ২০১৬, ১০:১৮ পিএম
দুষলেন বীর বাহাদুরকে, দিলেন হুঁশিয়ারি

ঢাকা: অবিলম্বে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে জনসংহতি সমিতির সভাপতি (জেএসএস) জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বলেছেন, ‘পূর্বঘোষিত ১০ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার যদি দমন-পীড়নের পথ বেছে নেয়, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি বর্তমানে যেভাবে আছে, তা আর থাকবে না।’ 

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জনসংহতি সমিতি ঘোষিত ১০ দফার মধ্যে রয়েছে হরতাল; জলপথ, স্থলপথ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কার্যালয় ঘেরাও; অর্থনৈতিক অবরোধ; সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস বর্জন এবং আদালত বর্জনের মতো কর্মসূচি। তবে এই কর্মসূচি কবে থেকে শুরু হবে, তার সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি। 

১৯ বছরেও চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া প্রসঙ্গে সন্তু লারমা অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সরকারের ‘দালালি’ করছেন। দীর্ঘ বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ধারাগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন তিনি। 

পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তিকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে সমাধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তির ধারাগুলো যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে এই সরকারকে মানুষ মোনাফেক উপাধিতে ভূষিত করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার। কিন্তু মনে হয়, সরকারের সেই সদিচ্ছা নেই। 

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন- ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের সদস্য সারা হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নূর আহমেদ, আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিমন সিসিম প্রমুখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন দীপায়ন খীসা।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!