ঢাকা: অর্থনৈতিক বৈষম্য যেন বেড়েই চলেছে ভারতে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা খাতেও পিছিয়ে পড়ছে দেশটি। যদিও দেশটিতে বনেদি ঘরের লোকজন মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে। কিন্তু ভারত তার জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারছে না। গত ২৫ বছরে অন্যান্য খাতে উন্নয়ন হলেও স্বাস্থ্যসেবায় আশানুরূপ সাফল্য দেখাতে পারেনি ভারত।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে ভারতের স্বাস্থ্যসেবার চিত্রে দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশের চেয়ে স্বাস্থ্যসেবায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে ভারত। ১৫ বছরের স্বাস্থ্যসেবা খাতের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক এক গবেষণা সংস্থা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মেডিকেল জার্নাল ল্যান্সেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরেও স্বাস্থ্যসেবায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভারত ব্যর্থ হয়েছে। গত ২৫ বছরে আশানুরূপ স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারেনি দেশটি। চীন, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের চেয়েও ভারতের অবস্থান নিচের দিকে। বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ভারতের অবস্থান ১৫৪তম। অথচ বাংলাদেশ ৫২তম অবস্থানে রয়েছে।
যদিও স্বাস্থ্যসেবা সূচকে ভারতের স্কোর ১৪.১ পয়েন্ট বেড়েছে। ১৯৯০ সালে ৩০.৭ থাকলেও ২০১৫ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪.৮ পয়েন্টে। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত ওই গবেষণায়, বিশ্বের ১৯৫টি দেশের ওপর ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মৃত্যুহারের ভিত্তিতে ওই র্যাঙ্কিং তৈরি করা হয়।
ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ এবং হার্টের সমস্যার ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৩৮, ২০ এবং ৪৫ নং অবস্থানে রয়েছে দেশটি। তবে নবজাতকের মৃত্যুতে ১৪, যক্ষ্মার জন্য ২৬, হৃদরোগে ২৫ এবং উচ্চ রক্তচাপের মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৩৩ নং সূচকে রয়েছে দেশটি।
তবে দেশগুলোর মধ্যে রোগভেদে চিকিৎসার মান ভিন্ন হিসেবে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। এছাড়া গবেষকরা দেখিয়েছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যেও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং গুণগত মানের পার্থক্য রয়েছে। ভারতের তুলনায় চীনের চিকিৎসা মান অনেক ভালো। র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের চেয়ে ৮০ সূচক উপরে চীনের অবস্থান ৭৪ এ। শ্রীলংকা ৭৩, ব্রাজিল ৬৫ এবং পাকিস্তান ৪৩ নম্বরে রয়েছে।
ধনি পরিবারের জন্য চিকিৎসার সুযোগ থাকলেও বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারত। জনসংখ্যার তুলনায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয় করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা
আপনার মতামত লিখুন :