• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
এএফসি কাপ

দূর্ভাগ্যের শিকার হলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৩, ২০১৮, ০৬:১১ পিএম
দূর্ভাগ্যের শিকার হলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব

ঢাকা: একটি নয়, দু’টি নয় চার চারটি শট যখন গোল বারে লেগে ফিরে আসে তখন সেটিকে দূভাগ্য ছাড়া আর কি বলা যায়। এমন দূর্ভাগ্যের শিকার হয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। সুযোগ পেয়েও এএফসি কাপের প্রি-কোয়ালিফাইং রাউন্ডের প্রথম প্লে-অফ ম্যাচে হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবাগত দলটিকে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মালদ্বীপের ট্র্যাস্ট অ্যান্ড কেয়ার (টিসি) স্পোর্টসের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। টিসি স্পোর্টসের ফরোয়ার্ড ভ্লাসিচেভ আনাতলি জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন।

নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামার আগে চট্টগ্রাম আবাহনী এবং মোহামেডান থেকে ধারে বেশ কয়েক জন খেলোয়াড় নিয়ে দলের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল সাইফ স্পোটিং ক্লাব। প্রথমার্ধে নিজেদের তেমন মেলে ধরতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় তুলে ধরে স্বাগতিক ক্লাবটি।

ম্যাচের ২৩তম মিনিটে রক্ষণভাগের ভুলে পিছিয়ে পড়ে সাইফ স্পোর্টিং। এ সময়   টিসি স্পোর্টসের ইশান ইব্রাহিমের পাস বক্সে পেয়ে সাইফের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের জোড়ালো শটে লক্ষভেদ করেন ভ্লাসিচেভ আনাতলি (১-০)। ৩৩ মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছে সাইফ। বক্সের মধ্যে থেকে বল প্লেস করেন এনকোচা কিংসলে। প্রায় ফাকা পোস্টে শট নেন ফরোয়ার্ড মাসুক মিয়া জনি। কিন্তু বল ঠিকানা খুজে পায়নি।

৪১ মিনিটে গোলরক্ষক বল দীর্ঘ সময় বল হাতে ধরে রাখায় টিসি স্পোর্টসের বক্সে ইনডিরেক্ট ফ্রি কিক পায় সাইফ স্পোর্টিং। চার্লি সেরিংহ্যাম এর শট রক্ষণ দেয়ালে লেগে প্রতিহত হয়। ৪৫ মিনিটে জাহিদের কর্ণার বক্সে পেয়ে হেড নেন স্যারিংহ্যাম। কিন্তু বল চলে যায় মাঠে। ফলে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সাইফ।  

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে সাইফ।  ৪৯ মিনিটে বক্সে বল পেয়ে ফাকা পোস্টে ডান পায়ের জোড়ালো শট নেন ডেইনার। অল্পের জন্য বল জড়ায়নি জালে। ৫৭ মিনিটে জামাল ভুইয়ার শট ছিলো নিশ্চিত গোল। কিন্তু শেষ মূহুর্তে হাত বাড়িয়ে বল সরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। এর পরের কয়েক মিনিটে রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় টিসি স্পোর্টসের উপর দিয়ে। বক্সে বল পেয়ে এনকোচা শট নেন বল ফিরিযে দেন গোলরক্ষক। ফিরতি বলে আবারো শট নেন এনকোচা। এবারো বল জড়ায়নি জালে।

৬০ মিনিটে কিংসলের শট বারে লেগে ফেরত আসে। ৬২ মিনিটে আখররের শট ফিস্ট করেন গোলরক্ষক। কিন্তু দুর্ভাগ্যই বলতে হবে সাইফের। কারণ তিনটি শট বারে লেগে ফেরত আসে। তা না হলে অন্তত ৩ গোল পেতে পারতো তারা। ৮২ মিনিটে আরো একবার হতাশায় পুড়ে সাইফ। একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন কিংসলে। গোলরক্ষক এগিয়ে আসায় পোস্ট ছিলো অরক্ষীত। কিন্তু কিংসলের শট বারে লেগে চলে যায় বাইরে। এরইসঙ্গে দূভার্গের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!