• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দূষণ সামলাতে শহুরে বন তৈরি করছে চীন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭, ০৭:৫৫ পিএম
দূষণ সামলাতে শহুরে বন তৈরি করছে চীন

ঢাকা: বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণ। শহর বানালে তো আর বন থাকবে না। আবার প্রকৃতিও দরকার। পরিবেশ রক্ষায় বন ও শহরের মিশ্রণে শহুরেবন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে চীন। এর নাম দেয়া হয়েছে ভার্টিকেল ফরেস্ট। মানে আকাশ ছোঁয়া ভবনের খাঁজে খাঁজে থাকবে সবুজের সম্ভার। 

এ যেন বহুতল ভবনে প্রকৃতির আলতো ছোঁয়া। ভবনগুলোতে লাগানো গাছগুলো প্রতিদিন ৬০ কেজি করে অক্সিজেন সরবরাহ করবে। ভবনের বাসিন্দারা বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাবেন শহরে থেকেই।

ভার্টিক্যাল ফরেস্টের নির্দশনা দেখা যাবে চিনের নানজিং-এ। ২০১৮-র মধ্যে এই প্রকল্প শেষ হলে এটাই হবে এশিয়ার প্রথম ভার্টিকেল ফরেস্ট। প্রকৃতিকে ধ্বংস করে কৃত্রিম প্রকৃতি এভাবে ফিরিয়ে আনলে আদৌ কি ভারসাম্য থাকবে? নাকি উষ্ণাতা আরও বাড়বে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

চীনে প্রথম ভার্টিকেল ফরেস্ট চালু হবে ২০১৮-র মধ্যে। নাম দেয়া হয়েছে নানজিং টাওয়ার্স। প্রত্যেকটি টাওয়ারের উচ্চতা ৬৫৬ ফুট এবং ৩৫৪ ফুট। এক একটি টাওয়ারে লাগানো হয়েছে ১ হাজারটি গাছ, আড়াই হাজার ঝোপ এবং ২৩ ধরনের স্থানীয় গাছ। নানজিং টাওয়ার চালু হলে এই গাছগুলি প্রতিদিন ৬০ কেজি অক্সিজেন দেবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এই বহুতলগুলিতে থাকছে অফিস, স্কুল, মিউজিয়াম, রুফটপ সুইমিং পুল এবং ২৪৭টি হোটেল রুম। এ ছাড়া আকাশছোঁয়া সবুজ বাগানের অনবদ্য দৃশ্য উপভোগ করা যাবে টাওয়ারের প্রত্যেকটি ব্যালকনি থেকে। 

নানজিং টাওয়ারের আগে এই ধরনের বিল্ডিং তৈরি হয়েছে সুইত্জারল্যান্ডের মিলান এবং লসেনে। চীনে এধরনের ভবনের ডিজাইন করেছেন ইতালিয়ান আর্কিটেক্ট স্টেফানো বোয়েরি।বিশ্বের সর্বত্রই তৈরি হচ্ছে আকাশছোঁয়া বহুতল। যে ভাবে পৃথিবীতে দূষণ বাড়ছে, উষ্ণায়ণ থেকে বাঁচতে এই ধরনের ভার্টিক্যাল ফরেস্ট-ই ভবিষ্যতের বিকল্প বলে মনে করছেন প্রকৃতিবিদরা।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!