• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে করযোগ্য চিকিৎসক ৬০ হাজার, দিচ্ছেন ১৪ হাজার!


বিশেষ প্রতিনিধি এপ্রিল ৭, ২০১৭, ০৪:৫৩ পিএম
দেশে করযোগ্য চিকিৎসক ৬০ হাজার, দিচ্ছেন ১৪ হাজার!

ঢাকা : দেশে করদাতা চিকিৎসকের সংখ্যা ১৪ হাজার ৪৬১ জন বলে জানিয়েছেন এনবিআরের আওতাধীন কর অঞ্চল-১০ এর কমিশনার অপূর্ব কান্তি দাস।

সেগুনবাগিচান কর অঞ্চল-১০ এর কথামালা সম্মেলন কক্ষে ‘আয়কর বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনার বিশেষ সভায়’ এ তথ্য জানান তিনি।

এনবিআরের হিসেবে, দেশে করযোগ্য চিকিৎসকের সংখ্যা ৬০ হাজার। এর মধ্যে নিয়মিত কর দেন মাত্র ১৪ হাজার ৪৬১ জন চিকিৎসক। ই-টিআইএন নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করায় ও এনবিআরের পদক্ষেপের ফলে করদাতা চিকিৎসকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

কমিশনার বলেন, ১৪ হাজার ৪৬১ জন চিকিৎসক ই-টিআইএন নিবন্ধন নিয়েছেন ও রিটার্ন দাখিল করেন। কোন চিকিৎসক কোথায় রোগী দেখে? আয় কেমন? এ নিয়ে ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে। অনেক চিকিৎসক প্রশিক্ষণ, লেখাপড়ার জন্য দেশের বাইরে আছেন, দেশে আসলে ই-টিআইএন নেবেন। তাদেরকেও শনাক্ত করছি।

এছাড়া প্রতিদিন হাসপাতাল, ক্লিনিক আমাদের কর্মকর্তারা হানা দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত ১২০ জন চিকিৎসকের চেম্বারের তথ্য নেওয়া হয়েছে। এ থেকে ১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। চলতি অর্থবছর এ কর অঞ্চল থেকে ৫ জন চিকিৎসক সর্বোচ্চ কর প্রদান করে ট্যাক্সকার্ড পেয়েছেন। দুইজন চিকিৎসক একুশে পদক ও একজন স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।

তিনি জানান, ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর কর অঞ্চল-১০ এর যাত্রা। এ বিশেষায়িত কর অঞ্চলে সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর মামলা নিষ্পত্তি করে। এসব এলাকার সরকারি, বেসরকারি চিকিৎসকরা এ কর অঞ্চলের আওতাভুক্ত।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে কর অঞ্চলের করদাতার সংখ্যা ৫২ হাজার ১০৩ হলেও চলতি অর্থবছর এ করদাতার সংখ্যা ৭৬ হাজার ৭৪২ জনে উন্নীত হয়েছে। মাত্র দেড় বছরের ব্যবধানে ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ নতুন করদাতা সৃষ্টি হয়েছে। রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৩ শতাংশ।

অপূর্ব কান্তি দাস বলেন, ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল থেকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কর অঞ্চলের শতকরা ৭৭ শতাংশ অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন- যার সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩৫৪ জন। আগামী জুনের মধ্যে শতকরা ১০০ শতাংশ করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করা হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, এনবিআর ডিজিটাল হচ্ছে। এনবিআরের সব বিভাগকে ডিজিটাল হতে হবে। ৩০ চৈত্র বকেয়া রাজস্ব আহরণে সারাদেশে হালখাতা করবে এনবিআর। হালখাতা শুধু শহরে নয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পর্যন্ত হালখাতার স্বাদ ছড়িয়ে দিতে চাই।

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে যারা ই-টিআইএন নিয়েছেন তাদের সেদিন ডেকে মুষ্টিমুখ করানোর জন্য ব্যবস্থা করতে কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে শুধু ই-টিআইএন নয়; মিষ্টিমুখও করা হয়- এ খবর ছড়িয়ে পড়লে করদাতাদের মধ্যে একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

তিনি বলেন, কি পরিমাণ চিকিৎসক রয়েছে তা মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে আছে। করদাতা বৃদ্ধির জন্য এভাবে যারা মূল তথ্য ভাণ্ডারে রক্ষণাবেক্ষণ করেন- তাদের সঙ্গে এনবিআর পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে চাই।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!