• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে গণতন্ত্র সুশাসন আইনের শাসন ও নির্বাচন


এম.এ আজিজ আগস্ট ৪, ২০১৭, ১১:৪২ এএম
দেশে গণতন্ত্র সুশাসন আইনের শাসন ও নির্বাচন

ঢাকা : আমার এ লেখা যখন লিখতে বসেছি, তখন আমার হৃদয়ে শতাব্ধি ছুঁই ছুঁই একজন মানুষের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে। বাংলাদেশের ঊষালগ্নে স্বাধীনতার মহান মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলিতে আমরা যখন স্বাধীনতা উন্মুখ তখন সারা পৃথিবী ঘুরে, মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে যিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি বাংলাদেশ ন্যাশানাল আওয়ামী পার্টির প্রধান, ন্যাপ নেতা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও দার্শনিক সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব মোজাফ্ফর আহমেদ। একটি পত্রিকার সাক্ষাতকারে ন্যাপ নেতা মোজ্জাফফর আহমেদকে প্রশ্ন করেছিল, বাংলাদেশে রাজনীতির এতো দূরাবস্থা কেন? উত্তরে মোজাফফর আহম্মদ তার স্বভাব সুলভ ভাঙ্গিতে বলেছিলেন, রাজনীতি পেশায়ও নয়, ব্যবসায়ও নয়। ‘রাজনীতি হলো একটি অঙ্গীকার, যার মূল লক্ষ্য হলো জনসেবা। রাজনীতির ভিত্তি হবে নিজের দেশকে ভালবাসা। গরিব মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা।’ এ উপলদ্ধি যেদিন রাজনীবিদদের হবে, সেদিন দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটবে, তার আগে নয়।

আজ বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সংস্কৃতি প্রেক্ষাপট পর্যলোচনা করলে বুঝা যায় দেশের মানুষ নিরাপদ কিনা? দেশের মানুষের জানমালের হেফাজত আছে কিনা? মানুষ ঘর থেকে বের হলে নিরাপদে স্বগৃহে ফিরে আসার গ্যারান্টি আছে কিনা? খুন, গুম, হত্যা ও অপহরণ মুক্ত আমার দেশ আছে কিনা? মানুষ শান্তিতে, স্বস্তিতে, নিরাপদে থাকার জন্য রাষ্ট্র সফলভাবে নিরাপত্তা দিতে পারছে কিনা? রাষ্ট্রের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার আন্তরীক কিনা? এ প্রশ্নগুলোর সদুত্তর আজ জাতি উৎকণ্ঠার সাথে জানতে চায়।

জাতি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে মহান স্বাধীনতার নেতৃত্ব দানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও তার সরকারের কাছে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাপ্তির আশাতো মানুষ করতেই পারে? অন্যান্য রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি রাষ্ট্র পরিচালনায় অতীতে কোথায় সফল হয়নি, কোথায় আরও সফল হতে পারতো, আরো দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রে পরিচালনায় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পুরণে সার্থক অবদান রাখতে পারতো। সে বিচার বিশ্লেষণের ভার কোন সরকার বা রাজনৈতিক দলের উপর নয়। তাদের ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, দুর্নীতি-দুঃসাশন, সফলতা-ব্যর্থতা তার বিচারের ভার জনগণের উপর। তারাই বিচার বিশ্লেষণ করে নির্বাচন এলে আগামী নির্বাচনে তাদের মতামত ও রায়ের মধ্যে দিয়ে যারা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তারাই নির্বাচিত হবে, তারাই সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়ে সরকার গঠন করবে। অন্যান্যরা সবাই বিরুধীদলে আসন গ্রহণ করবে। এটাই গণরায়, এটাই জনগণের বিচার, এটাই গণতন্ত্র, এটাই সংখ্যা গরিষ্ঠতার বিচারের ফলাফল। আর এই বিচারেই শেষ বিচার। এই বিচারের কোনো আপীল বিভাগ নেই। জনগণের কোট শেষ কোট। তার উপরে আর কোন বিচারলয় নেই। এটাই গণতন্ত্রের কথা, গণরায়ের কথা, এমন কি সার  কথাও। এখানেই গনতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। এভাবেই গণতন্ত্র বিকশিত হয়। এই সৌন্দর্যকে লালন করা, ধারন করা, বিশ্বাস করা, সর্ব ক্ষেত্রে আন্তরীকাতা দিয়ে তা প্রয়োগ করা। সরকারি দল ও বিরুদীদলের সংসদদের কাছে জনগণের আমানত। এ আমানত রক্ষা করার দায়িত্ব সংসদের। জনগণের এই আমানত সরকারের মেয়াদ শেষ করে জনগণের দেওয়া আমানত আবার জনগণের কাছে সততা, নিষ্ঠা, সচ্ছতা, জবাবদিহিতা, বিশ্বস্ততার সাথে যে জনগণ প্রজাতন্ত্রের মালিক তাদের কাছে স্বসম্মানে তাদের অধীকার ফেরত দেওয়া। এটাই জনগণের কাছে সরকার ও সরকারি দলের অঙ্গীকার। ক্ষমতায় সরকার একবার এসে আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না।

অন্যদিকে বিরোধী দল সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় যে যে ভুলগুলো করেছে সেগুলোকে জাতির সামনে তুলে ধরে জনমত সৃষ্টি করে গণরায়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার প্রক্রিয়া তৈরি করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এখন আর এই প্রক্রিয়াগুলো চোখে পড়ে না। সরকারি দল যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়, আর বিরোধী দল যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। এই অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের দেশকে বেরিয়ে আসতে হবে। যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসতে পারবে ততই জাতির মঙ্গল।

আমাদের দেশে অনেক সমস্যা আছে, অনেক সংকট আছে, অনেক না পাওয়ার বেদনা আছে, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থায় সমস্যা আছে, অর্থনৈতিক সমস্যা আছে, সবচেয়ে আজকে বড় সমস্যা দুটি। একটি রাজনৈতিক অপরটি গণতান্ত্রিক সংকট। প্রথমত: রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আমাদের দেশে সংবিধান প্রণেতা দেশের প্রবিণ রাজনীতিবিদ আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজ্ঞ, গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন সমকালিন রাজনীতি সম্পর্কে বলেছেন ‘দেশে কোন রাজনীতি নেই, আছে রাজনীতির নামে রাজচালাকি।’ দ্বিতীয়ত: বর্তমানে গণতান্ত্রিক সংকট নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের অপর পার্টনার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রধান প্রবীণ সেনানায়ক, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইছ.এম হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বর্তমান গণন্ত্রের চেহারা দেখে বলেছেন, ‘গণতন্ত্র আজ শুধু প্রশ্নবিদ্ধ নয়, গণতন্ত্র আজ গুলিবিদ্ধও।” আবার অপর এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘দেশে কোন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র এখন ত্রিশফুট মাটির নীচে।’ এ সমস্ত মতামত, আলোচনা, পর্যালোচনা মানুষ ব্যাখ্যা বিশ্লষণ করে বুঝার সময় এসেছে।

দেশের জনগণ এতো রক্ত, এতো অশ্র“, এতো জীবন, এতো আত্ম-ত্যাগের মধ্যে দিয়ে ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধকরে যে বাংলাদেশ মানুষ চেয়েছে সে বাংলাদেশ তারা কি পেয়েছে? এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার গণতান্ত্রিক অধিকার কি মানুষ পেয়েছে? একজন দার্শনীক বলেছেন, “যে জাতি স্বাধীনতার জন্য গণতন্ত্রকে বিসর্জন দেয়, সে জাতির স্বাধীনতাও থাকে না।”

সুতারং রাজনৈতিন স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের স্বাধীনতা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাক-ব্যক্তির স্বাধীনতা, বিচারালয়ের স্বাধীনতা, দেশে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা, ভোটার বিহিন রাজনীতির সংস্কৃতি, গুম, হত্যা, খুন, অপহারণ, দুর্নীতি জাতীয়করণ, আবাধে ব্যাংকিং সেক্টরে লুট, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, সকল সেক্টরে রাজনীতিকরণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীনতার হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অর্থের বিনিময়ে যারা মানুষ হত্যা করে, গুমের সাথে জড়িত থাকে, তাদেরকে শৃঙ্খলার মধ্যে পেশাদারিত্বে ফিরিয়ে আনা, কঠোর হস্তে দমন করা। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আওতায় আনা, তাদেরকে সরকার বুঝিয়ে দেয়া, তোমাদের দায়িত্ব কোন রাজনৈতিক দলকে, কোন সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেয়া নয়। তোমাদের দায়িত্ব দেশের জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া, নিরাপত্তা বিধান করা। দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের অতংক নয়, তারা মানুষের বন্ধু। এ বিশ্বাস সরকার দেশবাসীকে আস্থায় আনা।

অতি সম্প্রতি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ, পুলিশের বাড়াবাড়ি ও ক্ষমতার নিষ্ঠুর অপব্যবহারের নামে সিদ্দিকুর নামে একজন ছাত্রের দুটি চোখেই অন্ধত্বের সম্ভাবনা রয়েছে। একজন মেধাবী তরুণ গরীব অসহায় ছাত্রের জীবনে এই করুন অন্ধেত্বের দায়ভার কে নেবে? পুলিশ না সরকার? এ প্রশ্নের জবাব আজ জনগণ জানতে চায়।

এ প্রশ্নের সঠিক জবাব সরকার, পুলিশ প্রসাশন কি দেবেন? এখানেই আইনের শাসন, গণতন্ত্র সুশাসন খুব জরুরী। যে সমাজ ও দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না, সেখানেই দুর্নীতি, আইনের অপপ্রয়োগ, আইনের সীমাহীন লঙ্গন, সুশাসনের অভাবেই হয়।

বর্তমানে সারাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আবহ জোরেসোরে বইছে। নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের নামে ব্যাপক হৈ চৈ দেখি। তখন মনে হয় নির্বাচনই বোধহয় গণতন্ত্র। আমাদের দেশের বড় দলগুলো তাই দেখাতে ও বুঝাতে চায়। দেশে সুশাসন যে জরুরী ও দরকার তার প্রমাণ দেখা দিল দ্য ডেইলি স্টারের ০৩-০৭-১৭ শীর্ষ খবরে প্রকাশিত দুইটি বড় গঠনার কারনে। একটি হলো অকস্মাৎ বর্ন্যার কারণে সুনামগঞ্জের হাওরবাসীর জীবনে নেমে আসা অবর্ণনীয় করুন দুঃখ দুর্দুশার ঘটনা। এর কারণ বৃষ্টি বা ইঁদুর নয়। এর কারণ কিছু সংখক দুর্নীতিবাজ মানুষ। হঠাৎ বেশি বৃষ্টির কারণে বর্ন্যায় ফসল তলিয়ে যায়নি।

অথবা বর্ন্যা প্রতিরোধ বাঁধে ইঁদুর ছিদ্র করার ফলে মাঠে পানি ঠুকে পড়েছিল তাও নয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছুসংখ্যক ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারদের যোগসাজশে বাঁধে তেমন কোন কাজ হয়নি। সরকারের বরাদ্দকৃত টাকা এ দুই গোষ্ঠী পরস্পর যোগসাজশে যথাযথ কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। ফলে বৃষ্টির পানির অল্প ধাক্কাতেই বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ, হারিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। কপাল ভেঙ্গেছে এক ফসল বোরোর উপর নির্ভরশীল সুনামগঞ্জবাসীর। প্রায় পঞ্চাশ লাখ হাওরবাসীর কান্নাজড়িত অশ্র“, অন্য দিকে মহৌৎব শ’দেড়েক ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারদের।

সচেতন দেশবাসীকে এ ব্যাপারে ভাবতে হবে এবং সিদ্ধন্ত নিতে হবে। দ্য ডেইাল স্টারের ১০-০৭-১৭ আর একটি প্রতিবেদন হলো কড়াইল বস্তির উপর। শহরের অসহায় দরিদ্র মানুষগুলি বস্তিগুলোতে বসবাস করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বস্তি হলো কড়াইল। যার জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ। অন্তত ৬৫টি সিন্ডিকেট বস্তিটিকে নিয়ন্ত্রন করে। সিন্ডিকেট হলো সন্ত্রাসীদের দল বা গোষ্ঠী। তারা বস্তিবাসীকে অবৈধভাবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ করে। বিনিময়ে তারা দেড় কোটি টাকা আয় করে। এ আয়ের ভাগ পায় পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট উপরোক্ত সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর কর্মচারী কর্মকর্তারা। খোদ রাজধানীর শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আবাসস্থল বনানী গুলশানের সুন্নিকটে অবস্থিত বস্তিটি। সেখানেই এ দুর্নীতি দুঃশাসন বিরাজমান। এটাকেই বলে পাদপ্রদিপের নিছে অন্ধকার। এটাকি বিশ্বাস করা যায়? এই যদি দেশ ও জাতির অবস্থা হয় তখন বিবেকবান মানুষগুলোর বিবেক কি সাড়া দেয় না? দেশ, জাতি ও মানুষের প্রতি কি দায়বদ্ধতা জাগে না?

আজ আর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নয়। ৫ই জানুয়ারির মতো বিনাভোটের নির্বাচন জাতি আর দেখতে চায় না। একটি অর্থবহ, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেশবাসী দেখতে চায়। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সরকার বলেছিলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনে একটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে নির্বাচন নিয়ে আমরা শিগগিরই আলোচনা করবো। সবার সাথে আলোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো। নির্বাচনের অব্যবহিত পরে তখনকার সংবাদপত্রে এসব খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে সারাদেশে ঝড়োহাওয়া বইছে। রাজনৈতিক দলগুলো নড়েচড়ে বসেছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। নির্বাচনই কি গণতন্ত্র? না এটা গণতন্ত্রের উপাদান মাত্র। যেখানে সংসদ কার্যকর থাকে না, গণতন্ত্র থাকবে না, আইনের শাসন থাকবে না, সুশাসন কার্যকর থাকবে না, ঘুষ, দুর্নীতি, খুন, হত্যা আত্মহরণ সর্বক্ষেত্রে দলীয়কারণের রাজনীতি বন্ধ হবে না। ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।

দেশবাসী আশা করে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করে উপরোল্লেখিত বিষয়গুলি নিয়ে আগে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সাথে, বিরোধী দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্বান্ত গ্রহণ করে একটি কার্র্যকার সমঝোতায় এসে তারপর নির্বাচন কি দলীয় সরকারের অধীনে হবে? নাকি সহায়ক সরকারের অধীনে হবে? নাকি সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে সরকারের আন্তরিকতা, নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা, সবার সাথে একটি জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় এসে দেশবাসীকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা দেশবাসী আশা করে এবং বিশ্বাস করে।

নির্বাচন কমিশনও দেশের জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহসিকতার সাথে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে একটি সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখে, বঙ্গবন্ধু মতো নিজেও ইতিহাসের পাতায় আর একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। এটাই জাতির প্রত্যাশা।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!