• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১০ লাখ


নিজস্ব প্রতিবেদক  জুলাই ১৯, ২০১৬, ০৭:৪১ পিএম
দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১০ লাখ

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১০ লাখ। এরমধ্যে এক-তৃতীয়াংশই কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী। জনসংখ্যা এই বৃদ্ধির হার কমাতে কিশোর-কিশোরীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনকে সামনে রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য দেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিবছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হলেও পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ বছর ১১ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২১ জুলাই বাংলাদেশে জনসংখ্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জনসংখ্যা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘কিশোরীদের জন্য বিনিয়োগ, আগামী প্রজন্মের সুরক্ষা’। 

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬১ মিলিয়ন (১৬ কোটি ১০ লাখ)। মোট প্রজনন হার এখনো ২ দশমিক ৩। এ হার ২-এ নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ তরুণ প্রজন্ম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

তিনি বলেন, ‘দেশে সাড়ে চার কোটি কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী রয়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার এখন কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে। আমরা মনে করি, যদি তাদের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেয়া যায়, তাহলে দেশের জনসংখ্যা আর বাড়বে না। সরকার মেয়েদের সব ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, সমাজে শিক্ষিত মা তৈরি হলে একদিকে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমে আসবে, অন্যদিকে জনসংখ্যাও বাড়বে না।’ 

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে দেশের ১০০টি সেবাকেন্দ্রে কিশোরবান্ধব স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বহু বছর ধরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একই জায়গায় আটকে আছে। আগের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবার পরিকল্পনার কোনো সেবা দেয়া হয় না। 

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৩ থেকে ২-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যে চেষ্টা চলছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবার পরিকল্পনার সেবা দেয়া বন্ধ করা হয়নি। আগের চেয়ে এখন যোগাযোগব্যবস্থা অনেক ভালো হওয়ায় লোকজন নিজেরাই সেবাকেন্দ্রে চলে আসেন। বাড়ি বাড়ি যাওয়ার ততটা প্রয়োজন হয় না। এরপরও প্রয়োজন হলে বাড়ি বাড়ি যাওয়া আরও বাড়ানো হবে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওয়াহিদ হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!