পটুয়াখালী: গত বছরের জুনে দেশের তৃতীয় বন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে পায়রা সুমদ্র বন্দর। সরকারের লক্ষ্য, এটি হবে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর। তবে বন্দর চ্যানেলের নাব্যতা কম হওয়ায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং ছাড়া তা সম্ভব নয়।
এজন্য প্রয়োজন কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। এ অবস্থায় কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব মূল্যায়নের পর বেলজিয়ামের জান্দেনুল কোম্পানিকে নিয়ে যৌথ কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এটি রামনাবাদ চ্যানেলে ৬৫ কিলোমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি নিয়মিত মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করবে।
পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য বেলজিয়ামের ড্রেজিং প্রতিষ্ঠান ‘জান্দেনুলের’ সাথে যৌথ কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে। পায়রাকে গভীর সমুদ্র বন্দরের উপযোগী করতে এই উদ্যোগ। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এজন্য চুক্তির খসড়াও চূড়ান্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়রাকে গভীর সমুদ্র বন্দর করতে, বিপুল অর্থ বিনিয়োগের আগে, এ অঞ্চলের অন্যান্য ছোট বন্দরগুলো এটি ব্যবহারে কতটুকু আগ্রহী হবে সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের জানান, ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে বিপুল অর্থ বিনিয়োগের আগে, পায়রা আশপাশের দেশের ছোট বন্দরগুলোর ব্যবহারের কতটুকু উপযোগী সেটা বিবেচনায় নিতে হবে।পাশাপাশি এ অঞ্চলের অন্যান্য গভীর সমুদ্র বন্দরের সাথে প্রতিযোগিতার সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে।
বন্দর চেয়ারম্যানের দাবি, ক্যাপিটাল ড্রেজিং করলে সর্বনিম্ন ১১ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে, এতে কমবে পণ্য পরিবহন খরচ।
১৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ছয় হাজার একর জমির ওপর, ২০২৩ সালের মধ্যে তিন ধাপে শেষ হবে বন্দরের পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ কাজ। ২০২০ সালে প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মিত হলে গভীর সমুদ্র বন্দর হিসাবে কার্যক্রম শুরু করবে পায়রা বন্দর।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :