• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করেছে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৯, ২০১৮, ০৫:৪১ পিএম
দেশের মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করেছে

ঢাকা : রমজান মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিল এবং এর ফলে মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করতে পেরেছে বলে মনে করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

একান্ত আলাপচারিতায় তিনি আরো বলেছেন, মাদকবিরোধী অভিযানের কারণে দেশে মাদক অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। থানা-পুলিশকে আরো গণমুখী করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান আইজিপি।

সোমবার (১৮ জুন) পুলিশ সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশের খবরের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জঙ্গিবাদের মতো মাদক নির্মূলেও সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  

আইজিপি বলেন, পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই। রমজান মাসজুড়ে পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় সাধারণ মানুষ কেনাকাটা করে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরেছে। শপিং মল ও বড় বড় মার্কেটের আশপাশে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। ফলে ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির দৌরাত্ম ছিল না। সাধারণ মানুষ মধ্যরাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে ঘরে ফিরেছে। এবার ছোট-বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী যেদিন আইজিপির র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরান সেদিনই মাদক নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা দিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরদিন থেকেই আমি সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করার নির্দেশ দিই। ২ মাস আগেও যে পরিস্থিতি ছিল এখন তা নেই, পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে। চিহ্নিত হাজার হাজার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে গেছে। ফলে মাদক এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আইজিপি বলেন, যেকোনো মূল্যে আমরা এ অবস্থটা ধরে রাখব। তরুণ ও যুব সমাজকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। আমরা মাদককে আর বিস্তৃত হতে দেব না। জঙ্গিবাদকে যেভাবে রুখে দিয়েছি, একইভাবে মাদককে চিরতরে নির্বাসনে পাঠাব। পুলিশ বাহিনীর কারো কারো বিরুদ্ধে মাদকে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপর কারো বিরুদ্ধে মাদকে যুক্ত বলে অভিযোগ পেলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি কোনো ‘রাঘব বোয়াল’ তদবির করলে তাদেরও জড়ানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। মাদকে যুক্ত ব্যক্তির দলীয় পরিচয় বা ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ না দেখে তাকে মাদকে যুক্ত হিসেবেই ‘ট্রিট করার’ জন্য।  

জাবেদ পাটোয়ারী মনে করেন, দেশে অবাধে মাদক থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মাদকের অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকেই চুরি ছিনতাই খুনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিও সারাক্ষণ হতাশা ও অপরাধপ্রবণতায় ভোগে।

জঙ্গিবাদের মতো দেশ থেকে মাদক নির্মূলেও আলেম ওলামা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মিডিয়ার পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের অগ্রণী ভূমিকা প্রত্যাশা করে আইজিপি বলেন, শুধু পুলিশের পক্ষে একা সমাজ থেকে এ ভয়াবহ ব্যাধি দূর করা সম্ভব নয়। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে; গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। তা হলেই আমরা মাদককে নির্বাসনে পাঠাতে সক্ষম হব।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!