• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
রিজার্ভ চুরি

দেড় কোটি ডলার জমা বিবির অ্যাকাউন্টে


বিশেষ প্রতিনিধি নভেম্বর ১৫, ২০১৬, ০৬:৫৯ পিএম
দেড় কোটি ডলার জমা বিবির অ্যাকাউন্টে

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া প্রায় ৮ কোটি ডলারের মধ্যে এক কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ব্যাংকটির অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

দেবপ্রসাদ দেবনাথ বলেন, দুই ধাপে এক কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ কোটি ৮২ লাখ ফিলিপিনো মুদ্রা পেসো বা এক কোটি ডলার সোমবার (১৪ নভেম্বর) জমা হয়। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) আরও ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার জমা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ফিলিপাইনের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কাউন্সিল (এএমএলসি) দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজের কাছে নগদ  এক কোটি ৫২ লাখ ডলার হস্তান্তর করে।

চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংকো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিনাসকে’ (বিএসপি) বাংলাদেশের রিজার্ভের চুরি হওয়া টাকার এক কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশটির একটি আঞ্চলিক আদালত। এর ফলে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির প্রায় ১০ মাস পর ফিলিপাইন থেকে প্রায় দেড় কোটি ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ।

ফিলিপাইনের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অংয়ের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ ও যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রব গত ৭ নভেম্বর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় যান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, কিম অং পুরো অর্থ নগদ দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ছিল ডলারে। আর ৪৮ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ছিল পেসোতে। দুইয়ে মিলে এর অংক প্রায় ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার।

চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক সাইবার চক্রের হ্যাকাররা সুইফট কোড জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে। বিপুল পরিমাণ এ অর্থের মধ্যে স্থানান্তরিত করে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে (আরসিবিসি) পাঠানো হয়। আর শ্রীলঙ্কার প্যান এশিয়ান ব্যাংকে যায় ২০ মিলিয়ন ডলার।

সুইফট কোডের মাধ্যমে অভিনব এই চুরির পরপরই শ্রীলঙ্কার অর্থ ফেরত পাওয়া গেলেও ফিলিপাইনে আসা সব অর্থ উদ্ধার করা যায়নি। আট কোটি ১০ লাখ ডলারের অধিকাংশই রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে দেশটির বিভিন্ন স্থানের জুয়ার টেবিলে চলে যায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি
 

Wordbridge School
Link copied!