• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ধর্মের পাশাপাশি যৌনতা চরিত্র গঠনের জন্যই!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ২, ২০১৭, ০২:৫৫ এএম
ধর্মের পাশাপাশি যৌনতা চরিত্র গঠনের জন্যই!

ঢাকা : তরুণ পাঠকদের মনের বাসনাটা ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন বলে দাবি কারও কারও কাছে বিতর্কিত লেখক হিসেবে পরিচিত কাশেম বিন আবুবাকার। তিনি জানান, মানুষের চরিত্র গঠনের উদ্দেশ্যেই লেখা শুরু করেছিলেন। গল্প-উপন্যাসগুলোতে ধর্মের সঙ্গে মিশিয়ে দেন প্রেম আর হালকা যৌনতা। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এভাবে সহজেই তরুণ পাঠকদের কাছে টানা যাবে! 

কাসেম বিন আবুবাকার মূলত গ্রামীণ পটভূমির উপন্যাসে ইসলামী আদর্শ প্রচার করেন। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কাশেম বিন আবুবাকার বলেন, ‘কোরান হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে এবং তার আলোকে আমি বই লিখেছি। যেখানে তরুণদের বলা হয়েছে- তোমরা এভাবে চলো, এভাবে জীবন গড়ো।’ 

এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন লেখক। বললেন, ‘কোরান হাদিস নিয়ে অনেক তো বই আছে, সেগুলো তরুণরা তেমন পড়ে না। তাই আমি উপন্যাসের আদলে এসব বিষয় লিখেছি। তার সঙ্গে প্রেম বা যৌনতা এসেছে। সেটা না দিলে তো ওরা পড়বে না! তাছাড়া বর্তমান সমাজের চিত্র হিসেবেই এসব এসেছে। কিন্তু আমি বরাবরই চেয়েছি লেখার মাধ্যমে মানুষের চরিত্র গঠন করতে।’

পাঠক আকর্ষণে তার লেখায় যৌনতার সংমিশ্রণ ঘটানো হয় বলেই অভিযোগ। এ বিষয়ে তিনি বলছেন, ‘বর্তমান সমাজের যে চিত্র বা অবস্থা, সেখানে তো সেগুলো থাকবেই। ভালো দিকটাও আছে। আমি কোথাও নায়ককে ধার্মিক করেছি, তার মাধ্যমে নায়িকা আকর্ষিত হয়েছে। আবার কোথাও নায়িকাকে ধার্মিক করেছি, যার মাধ্যমে নায়ক ভালো হয়েছে। হয়তো এটা ঠিক না, তারপরও আমি এটা করেছি, না হলে বই তো কেউ পড়বে না।’ 

বৃদ্ধ এই লেখক বলেন, ‘বর্তমান সমাজকে দেখাতে গিয়েই যৌনতা এসেছে, কিন্তু কোনো বইতে সুড়সুড়ি নেই। তাছাড়া সেই যৌনতাও বেশিদূর এগোয়নি। সেভাবেই বইগুলো লিখেছি, যাতে তরুণরা পড়ে। বইগুলোর প্রচুর চাহিদাও হয়েছে।’

‘নাম-যশ-অর্থ কোনও দিনই আমার লক্ষ্য ছিল না। আমি শুধু চেয়েছিলাম মানুষের চরিত্র গঠন করতে, আর তাই কোরান-হাদিসের আলোকে চিরকাল মানুষকে মানুষের মতো করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়েই লিখে গেছি’ বললেন এক সময় বইয়ের দোকানে কাজ করা কাশেম। 

Wordbridge School
Link copied!